জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে লড়ছেন দুটি প্যানেল। একটি মৌসুমী-ডি এ তায়েব অন্যটি মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল। মঙ্গলবার (১অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন গ্রহণ করার সুযোগ পান প্রার্থীরা।
দুই প্যানেলের পক্ষ থেকে ২১ জন করে প্রার্থীর জন্য মোট ৬০টি মনোয়নয়ন পত্র গ্রহণ করা হয়। এবারের নির্বাচনে সতন্ত্রভাবে কেউ মনোনয়নপত্র ক্রয় করেননি বলেই জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মিশা-জায়েদ খান প্যানেলের পক্ষ থেকে জায়েদ খান, ইমন, সুব্রত জেসমিনসহ অনেকেই এফডিসিতে অবস্থিত শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের হাত থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এ সময় নৃত্রপরিচালক মাসুম বাবুলও তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
পরে দুপুর ৩টার দিকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে সমিতির কার্যালয়ে আসেন মৌসুমী ও ডি এ তায়েব। তারা ইলিয়াস কাঞ্চনের হাত থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছ থেকে মনোনয়ন গ্রহণ করছেন মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান প্যানেল
মনোয়নপত্র গ্রহণ করার পর মৌসুমী বলেন, ‘আমরা ২১ জন প্রার্থীর জন্য মোট ৩০টি ফরম গ্রহণ করেছি। কিছু ফরম ভূলবশত বাদ যেতে পারে বলেই বাড়তি ৯টি ফরম নেয়া হয়েছে। আগামী দুই দিন আমরা নিজেদের প্যানেল গোছাবো। এরপরই জানানো হবে আমাদের প্যানেলে অন্য প্রার্থী কারা থাকছেন। কারণ অনেকেই আশ্বাস দিয়েছিলেন আমাদের সঙ্গে নির্বাচন করার।। তারা সরে দাঁড়িয়েছেন। তাই আপাতত কারা থাকছেন সেটা এখনই বলছিনা। জমা দেয়ার পরই জানতে পারবেন সবাই।’
এ সময় মৌসুমী নির্বাচনে জয় হলে কী করবেন সে প্রতিশ্রুতির কথাও জানান। আরও জানান, সমিতির যে সদস্যদের বাদ দেয়া হয়েছে জয়ী হলে তাদের নিয়ে পুনঃরায় ভাববেন তিনি। সঙ্গে যেই জয়ী হোক শিল্পীদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করারও আহবান জানান ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় এ নায়িকা। মৌসুমীর মনোনয়ন গ্রহণ করার সময় ওমরসানীও উপস্থিত ছিলেন।
মৌসুমীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডি এ তায়েব। তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় শিল্পীদের পাশে থেকেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শিল্পীদের সহায়তা আনার ব্যাপারে সবসময় কাজ করছি। আমাদের প্যানেল বিজয়ী হলে এ কাজটি আরও গতি পাবে। মৌসুমী আপাকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পীদের উন্নয়নে আরও কাজ করবো। একই সঙ্গে বিজয়ী হলে শিল্পীদের আবাসন ব্যবাসার দিকে নজর দিবো। তাদের জন্য রাজধানীতে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করবো।’
শিল্পী সমিতির বর্তমান মেয়াদের সেক্রেটারির দায়িত্বে আছেন জায়েদ খান। দ্বিতীয় মেযাদে এবারের নির্বাচনের মনোনয়ন গ্রহণ করার পর জায়েদ খান বলেন, আমাদের বর্তমান কমিটি জয়ী হওয়ার পর কী করেছে সেটা সব শিল্পীই জানেন। তাদের সমর্থন নিয়ে তাই আবারও আমাদের প্যানেল নির্বাচন করছে। এবার জয়ী হলে কাজের গতি আরও বাড়বে। শিল্পীদের পাশে আগেও ছিলাম এবার থাকতে চাই।’ একই সঙ্গে জয়ী যেই হোক তাকে ফুর দিয়ে বরণ করে নিবেন বলেও জানান জায়েদ খান।
পাশাপাশি এবার বিজয়ী হলে শিল্পীদের আবাসন নিয়ে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন শিল্পীদের এ নেতা।
এদিকে নির্বিাচন ঘিরে এখন মুখর চলচ্চিত্রের আতুর ঘর হিসেবে পরিচিত এফডিসি প্রাঙ্গণ। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন জ্যেষ্ঠ নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিন সদস্যের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান। বাকি দুজন সদস্য হলেন পরিচালক সোহানুর রহমান ও রশিদুল আমিন।
২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা দিয়ে শুরু হয়ে এবারের ২০১৯-২১ এর দ্বি-বার্ষিকী নির্বাচন। পরের দিন শুক্রবার খসড়া ভোটার তালিকায় মোট ৪৪৯ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ৩ অক্টোবর বিকেল ৫টায় প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ অক্টোবর। ওই দিনই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।