সব মা-বাবাই শিশুকে দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করার কথা মনে করিয়ে দেন। কিন্তু এটুকুই যথেষ্ট নয়, শিশুকে কী খেতে দিচ্ছেন সেসবের ওপরও নির্ভর করে তার দাঁত কতটা ভালো থাকবে। প্রতিটি খাবারে বিভিন্ন পরিমাণে চিনি এবং স্টার্চ থাকে, যা মুখের মধ্যে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিড তৈরি করতে ব্যবহার করে, যা দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে। লালায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের মতো খনিজ পদার্থ এবং টুথপেস্ট থেকে পানির সঙ্গে ফ্লোরাইড ক্ষয় রোধ করে। তাই শিশুর দাঁত ভালো রাখতে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে বা কম খেতে দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. চিনিযুক্ত খাবার, জুস এবং ক্যান্ডি
এই জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেলে তা এনামেল ক্ষয় করতে পারে এবং যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক। শক্ত ক্যান্ডিতে চিনি অনেক বেশি থাকে। পাশাপাশি সেগুলো চিবিয়ে খাওয়ার সময় দাঁত ভেঙে যাওয়ারও ভয় থাকতে পারে। তাই শিশুকে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে।
২. সাইট্রাস ফল
উচ্চ অম্লীয় উপাদানযুক্ত সাইট্রাস ফল ঘন ঘন খাওয়ার ফলে এনামেলের ক্ষয় হতে পারে এবং ধীরে ধীরে দাঁত ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। যদিও একগ্লাস লেবুর শরবত শিশুর পছন্দের হতে পারে, তবে এটি তাদের মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করে না। সাইট্রাস ফল কেবল মুখে ঘা-ই সৃষ্টি করে না, সেইসঙ্গে জ্বালাও সৃষ্টি করতে পারে। তাই শিশুকে এ ধরনের ফল পরিমিত দিতে হবে।
৩. কফি এবং চা
শিশুর জন্য কফি এবং চা পানীয় হিসেবে খুব বেশি উপযুক্ত নয়। এগুলো অতিরিক্ত খাওয়া হলে তা শুষ্ক মুখ এবং দাঁতে দাগ সৃষ্টি করতে পারে। শিশুর দাঁত ভালো রাখতে তাই এ ধরনের পানীয় থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে।
৪. শুকনো ফল
যদিও এগুলোকে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে মনে করা হয় তবে বেশিরভাগ শুকনো ফল আঠালো প্রকৃতির হয়। এই জাতীয় খাবার শিশুর দাঁতের ক্ষতি করতে পারে কারণ তা মুখের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকে। যদি শুকনো ফল শিশুর খাবারের নিয়মিত অংশ হয়, তবে তাকে সঠিকভাবে ব্রাশ করা, মুখ ধুয়ে ফেলা এবং ফ্লস করা শেখাতে হবে।
৫. হোয়াইট ব্রেড
হোয়াইট ব্রেড চিবানোর সময় মুখের লালা স্টার্চগুলোকে চিনিতে ভেঙে দেয়। একবার পদার্থের মতো আঠালো-পেস্টে রূপান্তরিত হলে, রুটিটি দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে এবং গহ্বর সৃষ্টি করতে পারে। মা-বাবাকে তাই হোল গ্রেইন আটার রুটি বেছে নেওয়া উচিত, কারণ এতে চিনির পরিমাণ কম থাকে এবং সহজে ভেঙে যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।