জুমবাংলা ডেস্ক : শিশুশ্রম বন্ধে বাংলাদেশে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসডিজি অর্জনে সরকার শিশুশ্রম বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। তবে শিশুশ্রম সূচকে বাংলাদেশের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে শিশুশ্রম দূরীকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশল বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) মোঃ তৌফিকুল আরিফ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব চাইল্ড প্রোটেকশন নাটালি ম্যাককলি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাজেরা খাতুন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রোটেকশন ম্যানেজার এলিজা কল্পনা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে ইউনিসেফ বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের প্রশংসা করেন এবং শিশুশ্রমের মতো ক্ষতিকর প্রথা বন্ধ করার ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি শিশুশ্রম নির্মূলে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
বিশেষ অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের অবশ্যই শিশুশ্রমের বিপজ্জনক ধরনগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে এবং স্পষ্টতই, এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আরও সচেষ্ট হতে হবে। শিশু কল্যাণের বৈশ্বিক এসডিজি
প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায়, আমরা শিশুশ্রম সূচকে যথেষ্ট অগ্রগতি করতে পারিনি এবং এ ব্যাপারে আরও অনেক কিছু করার আছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর ও শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে একটি বৃহত্তর অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ইউনিসেফের এই উদ্যোগ ২০২২ সালে শুরু করা হয় বলে এলিজা কল্পনা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এটি শিশু শ্রম নিরসনে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিশ্রুতিরও অংশ, যা ২০২২ সালের মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত পঞ্চম বিশ্ব সম্মেলনে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল।
মন্ত্রণালয়ের শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা খোন্দকার মোঃ নাজমুল হুদা শামিম শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মকৌশল উপস্থাপন করেন। ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা খায়রুন্নাহার বলেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশ বিভিন্ন কর্মসূচি, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নীতিসমূহ হালনাগাদের মাধ্যমে দেশে শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনের এ প্রশিক্ষণ কাঠামোটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়েছে। কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তর ও শ্রম অধিদপ্তরের পরিদর্শক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়, সামাজিক সংগঠন এবং সমাজের সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের ফ্রন্ট-লাইন কর্মকর্তারা এটি বাস্তবায়ন করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।