আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নদীতে ‘মৃত’ সন্তানকে ছুড়ে ফেলেছিলেন এক বাবা। এরপরেও শেষরক্ষা হয়নি তার। স্থানীয়দের চেষ্টায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি শিশুর বাবাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়ার লক্ষ্যাতাড়ায়।
এই ঘটনায় শিশুটির বাবা ও অন্য একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত দশটায় শিশুটিকে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর ওপরে একটি সেতু থেকে নীচে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি দেখে ফেলে স্থানীয়রা। এরপর বাবা ও অন্য একজনকে আটক করে স্থানীয়রা। নদীতে তল্লাশিও চালানো হয়। পুলিশ ও স্থানীয়দের চেষ্টায় টানা ৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের বাসিন্দা নির্মল সত্পতির স্ত্রী। জন্মের পর থেকেই কঠিন অসুখে ভুগছিল শিশুটি। প্রাথমিকভাবে সদ্যোজাতকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও পরে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাকে দক্ষিণ ভারতের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে বাঁকুড়া ফিরিয়ে আনছিলেন নির্মল ও তার পরিবারের লোকজন।
অভিযুক্তদের দাবি, কলকাতা থেকে শিশুটিকে বাঁকুড়ায় নিয়ে আসার পথেই শিশুটি মারা যায়। মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়নি শিশুর পরিবার। তাই ওই শিশুকে গন্ধেশ্বরী নদীর সেতু থেকে নদীতে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল।
এদিকে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। শিশুর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : জি-নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।