শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে ১২ বছরের শিশু গৃহকর্মীকে নানা অজুহাতে বেধড়ক মারপিট করে আসছিলেন অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সোহাগ। কয়েকদিন আগে লোহার জিআই পাইপ দিয়েও নির্মমভাবে মেরে তাকে আটকে রাখেন বাসায়। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ওই গৃহকর্মী তাদের বাসা থেকে পালিয়ে আসে এবং পাশের বাসার আরেক গৃহকর্মীর সহযোগিতায় ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশকে নির্যাতনের কথা জানায়।
পরে পুলিশ দ্রুত গিয়ে সিলেট শহরতলীর আখালিয়ার সুরমা আবাসিক এলাকার রেনেসা ১১ নম্বর বাসা থেকে ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিলেট কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই শাবিপ্রবির গ্রাজুয়েট।
বৃহস্পতিবার রাতে গৃহকর্মী হালিমা আক্তারের অভিভাবকদের খবর দেয়া হয় এবং তারা আসার পর সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সোহাগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
বর্তমানে তারা থানাহাজতে রয়েছেন এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে পুলিশ জানায়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মিয়া জানান- গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে বিকেলে পুলিশ অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বামী সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। এরপর রাত ১২টার দিকে গৃহকর্মী শিশুটির বাবা আবুল কাশেম বাদি হয়ে শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে থানা হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এসআই ফারুক জানান- নির্যাতিত শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান নির্যাতিতা গৃহকর্মীকে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে পুলিশের ভিকটিম সার্ভিস সেন্টারে রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।