শিশু মোবাইল ছাড়া খেতে চায় না, গবেষণা কী বলে?
জুমবাংলা ডেস্ক : মোবাইল ফোনের ওপর আসক্তি শিশুদের দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমনও অনেক শিশু আছে যাদের হাতে মোবাইল ফোন না দিলে খেতে চায় না। এমন পরিস্থিতি শিশুর মধ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা জানার জন্য গবেষকরা গবেষণা শুরু করেন।
জামা পেডিয়াট্রিক গবেষণাপত্র অনুযায়ী, শিশুদের মোবাইলের প্রতি এ আসক্তির ক্ষতি ভয়াবহ। গবেষণায় উঠে এসেছে যেসব শিশু সারাক্ষণই মোবাইল ফোনে ডুব দিয়ে থাকে তাদের সৃজনীশক্তি কখনোই বিকাশিত হয় না।
এসব শিশু যে কোনো তথ্য খুব কম সময় মনে রাখতে পারে। অল্প বয়সেই দৃষ্টিগত সমস্যায় ভোগে। সারাক্ষণ মোবাইলের দিকে ঝুঁকে তাকিয়ে থাকার জন্য এসব শিশুদের মেরুদন্ড ও কাঁধের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন নিয়ে বসে থাকায় এসব শিশু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুটিয়ে যায়। এ ছাড়া পেটের গোলযোগ সমস্যাতেও এরা বেশি ভোগে।
গবেষণায় আরও যে বিষয়টি গবেষকদের নজরে আসে তা হলো, ১ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই যেসব শিশু মোবাইল, টিভি কিংবা ট্যাবের দিকে তাকিয়ে থাকবে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্মৃতিশক্তি ততই হ্রাস পাবে।
জামা পেডিয়াট্রিক গবেষণাপত্র আরও বলছে, ১ বছরের কম বয়সি শিশুর পাশাপাশি যেসব শিশু যারা ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টিভি, ফোন দেখে, ৯ বছর বয়সে গিয়ে তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, পড়া মনে রাখতে তো পারেই না, এরসঙ্গে পড়া বুঝতে, কাউকে মনে রাখার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়ে এরা। এসব শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গবেষণা অনুযায়ী, স্ক্রিন টাইমের সঙ্গে স্মৃতিশক্তি লোপের সরাসরি সম্পর্ক না হলেও পরোক্ষভাবে এর প্রভাব পড়ে শিশুমনের ওপর।
গবেষকদের মতে, ২ বছরের নিচে শিশুদের টিভি, মোবাইল ফোন দেখানো উচিতই না। ২ থেকে ৫ বছরের শিশুদের দিনে ১ ঘণ্টার বেশি ফোন দেখানো তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
গবেষকরা আরও বলেছেন, ৫ বছরের ওপরের শিশুদেরও বাঁধাধরা সময়ে টিভি, ফোন দেখার নিয়ম চালু করতে হবে। বর্তমান সময়ে যেহেতু শিশুদের অনলাইনে পড়াশোনার চল বেড়েছে তাই গবেষকরা বলছেন, যতটা সময় সম্ভব শিশুদের মোবাইল ও টিভির দিকে তাকিয়ে থাকা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের এ অভ্যাসে বাবা-মায়েরা রাশ না টানলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সমাজের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।