রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত কূপে পড়ে যাওয়ার ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা শিশু সাজিদ আর বেঁচে নেই। হৃদয়বিদারক এই মৃত্যুর ঘটনায় গর্ত খননকারীর শাস্তি দাবি করেছেন শিশুটির মা রুনা খাতুন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “তিন জায়গা খুঁড়েছিল। দুই বছর ধরে বন্ধ না করে গর্তগুলো এভাবে ফেলে রেখেছে। কেন ফেলে রেখেছে? আমি কছিরের শাস্তি চাই, তার বিচার চাই।”
রুনা খাতুন জানান, ঘটনার পর কছির একবার দেখতে এলেও এরপর আর আসেননি—তিনি পালিয়ে গেছেন।
এ দিকে ছেলে সাজিদের গর্তে আটকে পড়ার ঘটনায় বাবা রাকিবুল ইসলাম উন্মাদপ্রায় হয়ে পড়েছেন। কখনও নিস্তব্ধ, কখনও বিলাপ করছেন তিনি। কারো সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতেও পারছেন না।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, “আমরা ডিপের খননকারী কছিরকে পাইনি। তদন্ত চলছে।”
এরই মধ্যে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সদস্যরাও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
তানোর এলাকা উচ্চ খরাপ্রবণ হওয়ায় মাটির অনেক গভীরেও পানি পাওয়া যায় না। গভীর নলকূপ স্থাপনের আগে বিভিন্ন জায়গায় বোরিং করে পানির অস্তিত্ব পরীক্ষা করা হয়। শিশু সাজিদ যে গর্তে পড়ে যায় সেটিও এমনই একটি বোরিং গর্ত। সাধারণত এ ধরনের গর্তের গভীরতা ১০০ থেকে ১৫০ ফুট পর্যন্ত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



