জুমবাংলা ডেস্ক : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শীতকালীন সবজি চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক নুরুল ইসলাম সেলিম। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও তিনি শীতকালীন সবজির আবাদ করেন। সবজি চাষে তার জীবন-জীবিকায় ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা। সবজি চাষে তাকে সফল হতে দেখে আশে-পাশের কয়েকজন কৃষক তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন সবজি চাষসহ অন্যান্য শীতকালীন আবাদে ঝুঁকছেন।
জানা যায়, কৃষক নুরুল ইসলাম সেলিম উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের বাসিন্দা। সবজি চাষ করে তিনি নিজেকে একজন সফল কৃষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নুরুল ইসলাম বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিরতা বৃদ্ধিকরন প্রকল্পের আওতায় ৬ বিঘা জমিতে টমেটো, করলা, শসা, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, লাল শাক, ধনিয়া, রসুন, পাট শাক, পেপে, মাল্টা, পেয়াজ, আদা, হলুদ চাষ করে সফল ও লাভবান হয়েছেন। সবজি চাষ করে তার জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে তার সফলতা দেখে অনেক কৃষক তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সবজি চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষক নুরুল ইসলাম সেলিম বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতায় ৬ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজির আবাদ করেছি। কৃষি বিভাগে পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করায় খুব সহজেই চাষাবাদ করতে পেরেছি।৬ বিঘা জমিতে সবজি চাষে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় আশা করছি সকল খরচ বাদ দিয়ে ৪৫-৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবো।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসল ও সবিজর উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রকল্প আসলে আমরা তা কৃষক সেলিমকে তার আওতায় নিয়ে আসি। তার ৬ বিঘা জমিতে প্রকল্পের আওতায় বেগুন, টমেটো, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন শাক-সবজি আবাদ করা হচ্ছে। এই অঞ্চলের মাটি সবজি চাষের উপযোগী হওয়ায় উৎপাদন বেশি হয়। আমরা সব সময় কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও সহযোগীতা দিয়ে আসছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা চাষিদের মৌসুমী ও আগাম সব ধরনের সবজি ও ফসল উৎপাদনে মাঠ পর্যায়ে সহযোগীতা দিয়ে আসছি। সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি কৃষক লাভবান হবেন।
আম বাগানের ফাঁকা জায়গায়ও ধান আবাদ, স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্রি ধান ৮৭
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।