নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কালীগঞ্জে রোপা আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক ব্যস্ততা বেড়েছে স্থানীয় কৃষকদের। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকার ফসলি মাঠে এখন বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হচ্ছে। সবজি চাষে মাঠে মাঠে চারা রোপন করা সবজির পরিচর্যা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন সবজির মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কেউ সবজি খেতের আগাছা পরিষ্কার করে জমিকে উপযোগী করে তুলছেন। আবার অনেকে রোপন করা ফসলকে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক ছিটানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শাক-সবজি উৎপাদনে মাঠে মাঠে চলছে কৃষকদের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। তাছাড়া উপজেলার কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়নের সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে শীতকালীন শাকসবজি আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ১৪২০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষকদেরকে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রণোদনার পাশাপাশি স্থানীয় কালীগঞ্জ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনও শীতকালীন বিভিন্ন উন্নত জাতের শাক-সবজি বীজ প্রদান করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের মিরাপাড়া এলাকার বর্গা চাষি কাইয়ুম মিয়া (৩৫) বলেন, আমার নিজের কোন কৃষি জমিজমা নেই। প্রতি বছর ব্যক্তি মালিকানা জমি লিজে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি আবাদ করি। এতে নিজের পরিবারের সবজির চাহিদা মেটানোর পরও বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারি। প্রতি বছর আমার বেশ টাকা আয় হয়। আর আয় করা টাকা দিয়ে প্রতি বছর নিজের জমি বাড়াই এবং তাতে আবাদ বাড়াই। তবে তাকে সার-বীজ দিয়ে স্থানীয় কৃষি অফিস সহযোগীতা করার পাশাপাশি কালীগঞ্জ কল্যাণ সংস্থাও শাক-সবজির বীজ দিয়ে সহযোগীতা করেছেও বলেও তিনি জানান।
এছাড়াও কথা হয় একই মাঠের কৃষক মান্নান মীর (৪০) সহ আরো বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে। তারা জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক পরামর্শ ও সহযোগিতায় কৃষকরা লাভজনক ফসল উৎপাদনে ঝুঁকছেন বলেও জানান কৃষকরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়ার পাশাপাশি শীতকালীন লাভজনক ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় কালীগঞ্জ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবি সামাজিক সংগঠন স্থানীয়ভাবে কৃষকদের মাঝে শাক-সবজির বীজ বিতরণ করেছে।
কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম আরো বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির বেশ কদর রয়েছে। এছাড়াও কৃষকদের উৎপাদিত শাক-সবজিতে মিঠছে নিজ পরিবারে চাহিদাও। তাই স্থানীয় কৃষক অধিক লাভের আশায় আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছে বেশি। এতে করে অতিরিক্তি সবজি বাজারজাত হওয়ায় সব-শ্রেণি পেশার মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে বলেও জানা উপজেলা ওই কৃষি কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।