এবার হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। মজার ব্যাপার হলো প্রচণ্ড শীতে মশা উধাও। কেন? শীতের মধ্যে কি মশাদের কিছু না খেলেও চলে? অনেকেই জানি, ইউরোপ–আমেরিকায় বিশেষভাবে শীতকালে মশা থাকে না। মশার কামড়ও তেমন সহ্য করতে হয় না। স্ত্রী মশারা ডিম পাড়ার আগে আমাদের দেহে হুল ফুটিয়ে রক্ত চুষে নেয়।
তাদের ডিমের পুষ্টি সাধনের জন্য রক্ত দরকার। কিন্তু শীতকালে এরা বিপদে পড়ে। এর কারণ, এক প্রজাতির মশা ঠান্ডা রক্তের পতঙ্গ। এর অর্থ হলো এদের শরীরের তাপমাত্রা বাইরের আবহাওয়ার তাপমাত্রার সঙ্গে ওঠানামা করে। ২৬–২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এরা বেশ আরামে থাকে। কিন্তু তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অস্বস্তি বোধ করে। এ সময় ওরা শীত এড়িয়ে চলার ভিন্ন আশ্রয় খুঁজে নেয়, যা হাইবারনেশন নামে পরিচিত।
ঢাকায় অবশ্য খুব কমই এত শীত পড়ে। এ মাসে ১০–১৫ ডিগ্রিতে নেমেছে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৪–৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়। এ সময় মশারা ঘরের কোনা–ঘুপচি বা বাইরের ঝোপঝাড়ে একটু আশ্রয় খুঁজে নেয়। ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ এড়িয়ে চলে। প্রায়ই না খেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক মশা মারা যায়। বাকিরা শীতকালে একটু সরে থেকে গরমকালের জন্য অপেক্ষা করে। কোনোভাবে ফেব্রুয়ারিটা পার করতে পারলেই চলে।
তখন আবার বেরিয়ে পড়ে আমাদের গায়ে হুল ফোটাতে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে শীতের দেশেও গড় তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাব পড়ছে। এ জন্য ওইসব দেশে মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। মশাসহ বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গের উপদ্রব ওইসব দেশে বাড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।