লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীত অনেকের কাছেই আলাদা আমেজের। উষ্ণতার ছোঁয়া পেতে রঙ-বেরঙের সোয়েটার, ফ্যাশনেবল নকশার গরম পোশাক আমাদের সঙ্গী। শীতের বাতাসে ত্বক শুকিয়ে গিয়ে নানা সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।
বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি ও অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের প্রবণতা আছে, তাদের সমস্যা বেড়ে যায়। এছাড়া সোরিয়াসিসসহ কিছু ক্রনিক ত্বকের সমস্যাও বেড়ে যায়।
কারণ, প্রাথমিক সব ঝড়ঝাপটা সামলাতে হয় ত্বককে। শীতের সময় একদিকে শুকনো আবহাওয়া অন্যদিকে উল ও নানা সিন্থেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি পোশাকের সংস্পর্শে ত্বকের অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম তন্তু, উলসহ নানা উপাদানের মিশ্রণে তৈরি গরম কাপড়ের পোশাক এবং তাতে ব্যবহৃত নানা রঙের রাসায়নিকের সংস্পর্শের কারণে সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
গরম পোশাকে অ্যাজো ডাই বা প্যারাফিনাইল ডাই অ্যামিন ব্যবহার করা হয়। যা শিশুদের কোমল ত্বকে তো বটেই বড়দেরও ত্বকের জন্য ভালো নয়। এর সংস্পর্শে ত্বকে ইরিটেশন সৃষ্টি হতে পারে।
বিভিন্ন কৃত্রিম রং ও পোশাকের কাপড়ে ব্যবহৃত নানা রাসায়ানিক অনেকের ত্বকের জন্যে বেশ ক্ষতিকর। মোজা ও অন্তর্বাসে স্প্যান্ডেক্স নামে একটি পলিইউরেথেন ফাইবার থাকে। এর থেকেও অনেকের ত্বকে র্যাশ হয়ে চুলকানির ফলে সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে।
গরম পোশাকে থাকে ফরম্যালডিহাইড। এর থেকেও কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস হবার ঝুঁকি থাকে। ভেড়ার লোম থেকে তৈরি প্রাকৃতিক উলও কিন্তু অনেকের ত্বকে প্রদাহ ডেকে আনে।
আসলে প্রাকৃতিক উলে থাকে ল্যানোলিন নামে এক প্রকার প্রাকৃতিক তৈলাক্ত পদার্থ। যাদের এই তেলে অ্যালার্জি আছে, তাদের উলের পোশাক পরলেই ত্বক চুলকানোর ফলে লাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাঁচি শুরু হতে পারে, চোখ দিয়ে পানিও পড়ে।
যেসব উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন
গরমের পোশাক বা রংচঙে পোশাক পরার পর প্রথমে চুলকানি শুরু হয়। লাল লাল ফুসকুড়ি বা র্যাশ বের হয়। চুলকাতে গিয়ে নখের আঁচড়ে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। শুকনো ত্বকে সমস্যা বাড়ে। সে কারণে শীতকালে গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে আরেকবার নারকেল তেল বা ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ত্বক নরম রাখা দরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।