কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে তীব্র শীত এবং ঘন কুয়াশার কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে চলতি ইরি বোরো মৌসুমের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাজে আসছে না বিভিন্ন প্রকার ওষুধ স্প্রে করে কিংবা কৃষি বিভাগের পরামর্শ। ইতোমধ্যে বোনা বীজতলা হলুদ হয়ে বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে। বোনা বীজতলায় গজায়নি চারা। অংকুরেই নষ্ট হয়ে গেছে সেগুলো। দিনরাত বীজতলা পরিচর্যা করে সুফল পাচ্ছেন না এ জেলার কৃষকরা।
এমন চিত্র কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার বীজতলার। বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ইরি বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন কৃষকেরা। চাষের সময় চারা সংকট দেখা দেয়ার আশংকাও করছেন তারা।
নাগেশ্বরী উপজেলার কৃষক রফিকুল ইসলাম ও কৃষক বাবু মিয়া জুমবাংলাকে জানান, চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে বোরো চাষের চিন্তা ছিলো কিন্তু চারা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব নয়।
ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষক গোলজার হোসেন, এরশাদুল হক ও মমিনুল ইসলাম জুমবাংলাকে জানান, প্রতিদিন সকালে বীজতলার কুয়াশ ছাড়িয়ে স্প্রে করেও কোনও ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। চারার বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে এবং হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। আবাদ নিয়ে এবারে চিন্তাগ্রস্থ তিনি। গত হয়ে যাওয়া টানা শৈত্য প্রবাহে বীজতলা যেটুকু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার চেয়ে আগত শৈত্য প্রবাহ বেশী হওয়ার পূর্বাভাসে কপালে ভাজ পড়েছে জেলার সব কৃষকদের।
এদিকে বীজতলা কোল্ড ইনজুরি থেকে বাঁচাতে সন্ধায় বীজতলা পানি দিয়ে পূর্ণ করে তা সকালে বের করে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কুড়িগ্রামের কৃষি অধিদপ্তর। এছাড়া কিছু ওষুধ স্প্রে করতেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এবারে জেলায় ৫ হাজার ৯৪ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো বীজতলা করা হয়েছে এবং আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার হেক্টর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।