জুমবাংলা ডেস্ক : অবশেষে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। কমেছে তাপমাত্রার পারদ। হিম শীতে জুবুথুবু অবস্থা পার করছেন দেশবাসী। রাতে লেপ, কম্বল বা কম্ফোর্টার মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর আবহাওয়া এটি। আপনারও কি রাতে মাথা ঢেকে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে? তবে সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকালে লেপ-কম্বলে মাথা মুড়ি দিয়ে শোয়া একদমই উচিত নয়। এই ভুল করলে একাধিক রোগব্যাধির ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এই বদভ্যাস দ্রুত বদলে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কেন বিশেষজ্ঞরা মাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে মানা করেছেন? কী ক্ষতি হয় এতে? চলুন জানা যাক-
হতে পারে ব্রেন ড্যামেজ
হ্যাঁ, ঠিক পড়ছেন। এই বদভ্যাসের কারণে ব্রেনের গুরুতর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। গবেষণা অনুযায়ী, মাথা মুড়ি দিয়ে শোয়া প্রায় ২৩ শতাংশ মানুষ ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের আক্রান্ত হন। এই রোগ হলে ধীরে ধীরে স্মৃতি লোপ পায়। তারা সব ভুলে যায়। তাই, ডিমেনশিয়ার মতো রোগ থেকে বাঁচতে মাথা মুড়ি দিয়ে শোয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
শরীরে জমবে কার্বন ডাই-অক্সাইড
লেপ-কম্বলের ভেতরে সেভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে না। এজন্য মাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমালে শরীরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে। এমনকী এই কারণে দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে আজ থেকেই এই অভ্যাস ছাড়ুন।
অনিদ্রা হবে সঙ্গী
মাথা মুড়ি ঘুমানোর কারণে ঠিকমতো ঘুম নাও হতে পারে। নিত্যদিন এভাবে ঘুমানোর কারণে সঙ্গী হতে পারে অনিন্দ্রা। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। আর ঠিকমতো ঘুম না হলে অচিরেই কমবে ইমিউনিটি। এতে শারীরিক শক্তি বা এনার্জি লেভেলও কমে যেতে পারে।
নাক ডাকার সমস্যা
জানলে অবাক হবেন, মাথা মুড়ে শোয়ার কারণে নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এতেই ঘুমের বারোটা বাজে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যেই দম আটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।
কী করবেন?
একদিনে এই অভ্যাস ত্যাগ করা কঠিন। তাই অল্প অল্প করে নিজেকে বদলাতে চেষ্টা করুন। বিছানায় শোয়ার পর কোনোভাবেই মাথা ঢাকবেন না। ঘুম একটু পরে আসলে আসুক। এভাবে ১ মাস অভ্যাস করলে বদলে যাবে মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর বদভ্যাস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।