পরিবর্তন হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখন ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, যা স্পষ্টতই শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় শীতের প্রবণতা কিছুটা বেশি লক্ষ্যণীয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দুই দিন রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে, তবে এর পরবর্তীতে প্রায় এক সপ্তাহ তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য বলছেন, তাপমাত্রার এই পরিবর্তন হবে খুবই সামান্য।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল সন্দীপে ৩২ দশমিক ৮। অন্যদিকে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৩ এবং রাজশাহীতে ১৩ দশমিক ৬, যা শীতের অনুভূতি দিচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবিরের মতে, সপ্তাহজুড়ে দেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
তিনি তাপমাত্রার এই পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, বিগত কয়েক দিন ধরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুষ্ক ও ঠাণ্ডা বাতাস আসার কারণে শীতের অনুভূতি বেড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বাতাসের দিক পরিবর্তন হয়ে পশ্চিম দিক থেকে হিমালয়ের নিচ দিয়ে বাতাস আসছে, যা আরব সাগর থেকে আর্দ্রতা নিয়ে আসছে। এই আর্দ্রতার প্রভাবে কুয়াশা সৃষ্টি হবে, যার ফলে রাতে সূর্যের তাপ কমে আসার হার হ্রাস পাবে।
ফলস্বরূপ, বিগত দিনগুলোতে তাপমাত্রা যে ধারাবাহিকতায় কমেছিল, আগামী কয়েক দিন সেই গতিতে কমবে না। তবে এই পরিবর্তনের কারণে খুব বেশি গরম বাড়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, নভেম্বর মাস থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসবে এবং ডিসেম্বর মাস থেকে সারা দেশে শীতের আবহাওয়া ছড়িয়ে যেতে পারে। ঢাকায় শীত অনুভূত হতে অবশ্য ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
ভৌগোলিক কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চল—বিশেষ করে যশোর, চুয়াডাঙা, রাজশাহী ও পাবনার মতো এলাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়। এর পাশাপাশি সিলেট ও শ্রীমঙ্গলের কিছু জায়গায় তাপমাত্রা বেশি কমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। বর্তমানে এই শীতের প্রবণতা তেঁতুলিয়া ও বাগেরহাটের দিকেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



