শুকনো মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রাম এখন চরম ঝুঁকিতে। এক মাসের মধ্যে প্রায় ৫০ বিঘা আমন ধান এবং অন্তত ২০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
রতনপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, নদীর প্রতিদিনের ভাঙন তাদের জীবন ও সম্পদকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ৬০ বছর বয়সী আমিরন বিবি বলেন, ‘জমিজমা, ঘরবাড়ি নদীতে গেছে, হামরা তার খতিপুরণ চাইনে, নদী ভাঙন থাকি হামারঘরোক বাঁচাও বাবা।’ তার মতো অন্তত ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা একই ধরনের আকুতি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্তরা ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, কেউবা গাছ কেটে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছেন। কৃষক আবদুস সাত্তার জানান, এক মাসে তার দুই বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। জামাত আলীর তিন বিঘা জমির ধানও নদীতে চলে গেছে। গৃহিণী রুপালি বেগম বলেন, ‘এক বিঘা জমি ছিল, ২৫ দিন আগে নদীতে চলে গেছে।’
স্থানীয়দের দাবি, প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ ফুট এলাকা নদী ভেঙে যাচ্ছে। বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে সহায়তার আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় ভাঙন দেখা দেয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রকল্পের সমীক্ষা করা হয়েছে, বরাদ্দ আসলে কাজ করা হবে। তবে বর্তমানে রতনপুর গ্রামে ভাঙনরোধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।