জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামে শুচিয়া রামকৃষ্ণ স্কুলের দীর্ঘ একটা ইতিহাস রয়েছে তা আমি এ এলাকায় আসার পর বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি। এই স্কুলের বহু ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন সময়য়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাধমে দেশ গঠনে ভুমিকা রেখে যাচ্ছে।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সেই সময়ের ’৯১ এর প্রাক্তন শিক্ষক ও মরোনত্তর সেই সময়ের শিক্ষক ও বর্তমান স্কুলের শিক্ষদের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ১৯৯১ ব্যাচ যে সন্মান দিয়েছে তা আমাকে অভিভুত করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা গুলো বলেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাজিব হোসেন।
তিনি আরো বলেন, তখনকার শিক্ষকরা কঠোর শাসনের মাধ্যমে শিক্ষা দিতেন, স্নেহও করতেন। তাই আজ সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে পৃত্রিতুল্য শিক্ষকদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। এটা আমার জন্য সন্মানের সৌভাগ্যের। সময় পাল্টেছে ছাত্র-শিক্ষকদের আচরণও পাল্টেছে। তখনকার শিক্ষা ও আজকের শিক্ষার মধ্যে তফাও অনেক।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করেন দেবব্রত দাশ প্রক্তন উপ-পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম।
সভাপতিত্ব করেন ৯১ এর প্রক্তন ছাত্র মো. আহছান উদ্দীন চৌধুরী। যুগ্ন সদস্য সচিব রাজেশ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব সুজন দেব।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দিলীপ ভট্টাচার্য্য, তৃষিত চৌধুরী, কিশোর চৌধুরী, প্রভাকর বড়ুয়া।
বন্ধুদের পুরনো দিনের স্মৃতিকে বুকে ধারণ করে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুচিয়া রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ’৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দীর্ঘ ৩৩ বছর পরে ’৯১ ব্যাচের বন্ধুরা একত্রিত হওয়ায় এক উৎসব মূখর ও আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দুই যুগেরও অধিক সময় পর বন্ধুদের পেয়ে প্রাণের উচ্ছাসে মেতে উঠে প্রক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করে অনেকেই। ছোট্টবেলার স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে কেউ কেউ এসময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ যেন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পরে জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশিত হয়। প্রয়াত শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীসহ ও ’৯১ বন্ধুদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এরপর প্রধান অতিথি মো. রাজিব হোসেনের হাত থেকে তাঁরা সন্মাননা গ্রহণ করেন সাবেক প্রধান শিক্ষক করুণাময় দাশ ও রতন চক্রবর্তী । বর্তমান প্রধান শিক্ষক টিক্লু দাশ গুপ্ত, সাবেক সিনিয়ার শিক্ষক সবিতা সিকদার, দিবাকর বড়ুয়া ও সলিল চক্রবর্তী।
এছাড়া মরোণত্তর সম্মাননা দেওয়া হয় সাবেক প্রধান শিক্ষক দিলীপ কান্তি মজুমদার, সিনিয়র শিক্ষক সুকুমার বড়ুয়া, শান্তিপদ দাশ, অজিত কুমার বড়ুয়া, তপন কান্তি চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রত্না প্রভা বড়ুয়াকে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সন্মানাগুলো তুলে দেওয়া হয়। পরে বর্তমান স্কুলের সকল শিক্ষকদের সন্মাননা প্রদান করা হয়।
এছাড়াও মিলন মেলা অনুষ্ঠানে আসা ’৯১ প্রক্তন বন্ধুদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গৌতম ভট্টচার্য্য, নেপাল শীল, লিপি দেব, সিরাজুল হক, বিজন দে, ত্রিদিব দেব, করবী দাশ, প্রবীর চৌধুরী, লিটন পাল, সজল ভট্টাচার্য্য, সময় ভট্টাচার্য্য, বিথী বড়ুয়া, শম্পা দাশ, নূপুর বড়ুয়া, উত্তম চৌধুরী, দিপক হোড়, শিমলা বিশ্বাস, ইতি তালুকদার, ঝর্ণা দেব, আলমগীর আলম, ভবতোষ চৌধুরী, অনুপ বড়ুয়া, মিল্টন চৌধুরী, পূর্নিমা আচার্য্য, প্রণতি চৌধুরী, শিব নারায়ন চক্রবর্তী, সুবল দে, মহিউদ্দীন চৌধুরী, দিলীপ হোড়, তরুণ চৌধুরী, চম্পা দেব, মিন্টু আচার্য্য, রাম প্রসাদ দেব, প্রিয়তোষ বড়ুয়া, জিতেন বিশ্বাস, পুষ্পেন বড়ুয়া, নিতিশ বড়ুয়া, দয়াল দাশ, পূর্নিমা সামন্ত,, সুবল দে, ভবতোষ চৌধুরী ,প্রিয়তোষ বড়ুয়া, শিল্পী ভট্টাচার্য্যসহ আরো অনেকে।
মিলন মেলায় অনেকেই পুরোনো সেই দিনের কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সবাই। দীর্ঘ দিন দেখা না হওয়ায় যে স্থান তৈরি হয়েছিলো তা আজ পুরণ হলো এই মিলন মেলার মধ্য দিয়ে।
আয়োজক কমিটির সদস্য বলেন, আজকের এই দিনে আমরা মিলিত হয়েছি। অনেককে দেখে অবাক হয়ে গেলাম তবে অনেকেই আবার নেই আমাদের মাঝে। একে অপরের সাথে এক বন্ধনের মাইফলক। এতে করে সেই শৈশবের কথা ভাগাভাগি করে নেওয়া সারাদিন হৈহৈল্লুর করা একে অপরের সাথে নতুন করে পরিচিত হওয়া এই আর কি।
দিনব্যাপী আনন্দঘন অনুষ্ঠানে আড্ডা, আলাপচারিতা, শিক্ষাগুরু এবং পুরোনো বন্ধুদের নিয়ে ফটোসেশন, বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ এবং র্যাফেল ড্র এর মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।