জুমবাংলা ডেস্ক : যুবলীগের পর এবার পাপিয়া ইস্যুতে যুব মহিলা লীগের বিতর্কিতদের সংগঠন থেকে বের করে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। নির্দেশ দিয়েছেন শুদ্ধি অভিযানের। গণভবনে ডেকে যুব মহিলা লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে এ নির্দেশ দেয়া হয়। অন্যদিকে সংগঠনটির তৃণমূল বলছে- শুধু পাপিয়া নয়, তাকে যারা সহায়তা করেছে, চিহ্নিত করতে হবে সেসব নেতা-নেত্রীকেও।
২০১৭ সালের ১১ই মার্চ সর্বশেষ সম্মেলন হয যুব মহিলা লীগের। এ মুহূর্তে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলায় ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি রয়েছে আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনটির।
সম্প্রতি অসামাজিক কার্যকলাপ আয়োজনের অভিযোগে নরসিংদী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া গ্রেপ্তার হলে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয় সংগঠনসহ মূল দলে।
যুব মহিলা লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে মার্চে। এ অবস্থায় পাপিয়া ইস্যুতে ইমেজ সঙ্কটে পড়া এ সহযোগী সংগঠনে শুদ্ধি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্মেলন নিয়ে কিছু বলেন নি, তবে এই বিষয় নিয়ে তিনি অনেক মর্মাহত। উনার কাছে বিতর্কিতদের রিপোর্ট আছে, সেটা আমাদেরকে দিবেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী বিতর্কিতদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিনের সঙ্গে পাপিয়ার ঘনিষ্ট সম্পর্কের নানা ছবি ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তুহিন জানান, পাপিয়াকে সংগঠনে কাছের মানুষ ভাবলেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল না তার।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগ সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন,ওর বাচ্ছা মারা যাওয়ার পর ওকে স্বান্তনা দেয়ার জন্য মাঝে মাঝে তাকে আমি সময় দিতাম।কিন্তু তার সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক কোন সম্পর্ক ছিল না। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে তাহলে আপনারা তা মিডিয়ায় প্রকাশ করেন।
সংগঠনের সভাপতি জানিয়েছেন, দলীয় সভাপতির কাছে থাকা গোয়েন্দা রিপোর্ট ধরে দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।