বিনোদন ডেস্ক : বেঁচে থাকতে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কৌতুক সম্রাট। রুপালি পর্দায় যাদের উপস্থিতি সিনেমা দর্শকদের মধ্যে বাড়তি আনন্দ দিত, তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ঢাকাই সিনেমার এই কৌতুক অভিনেতা এখন আর বেঁচে নেই। তিনি দিলদার। আজ তার জন্মদিন।
১৯৪৫ সালের এদিনে তিনি জন্মদিন করেন। বেদের মেয়ে জোসনা, বিক্ষোভ, অন্তরে অন্তরে, কন্যাদান, তুমি শুধু আমার, চাওয়া থেকে পাওয়া, সুন্দর আলী জীবনসংসার, স্বপ্নের নায়ক, আনন্দ অশ্রু, শান্ত কেন মাস্তান, গাড়িয়াল ভাই, অচিন দেশের রাজকুমার, প্রেমযমুনা, বাঁশিওয়ালা-সহ আরও অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০৩ সালে সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
তিনি ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনার ইতি টানেন। ১৯৭২ সালে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। তিনি রুপালি পর্দায় আসার আগে থিয়েটারে কাজ করতেন। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘কেন এমন হয়’। এরপর ধীরে ধীরে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী কৌতুক অভিনেতার আসন দখল করে নেন। তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হতেন সবাই। বনে যান সবার নয়নের মণি। এমনিভাবে তিনি হয়ে উঠেছেন ঢাকাই সিনেমার কৌতুকসম্রাট। তিনি সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতেন।
সহকর্মীদের আপদে-বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৫৮ বছর। স্ত্রীর ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। বড় মেয়ে মাসুমা আক্তার ও ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে তার চলে যাওয়ায় বাংলা সিনেমায় যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা এখন বুঝতে পারছেন সিনেমাপ্রেমীরা। তার মৃত্যুর পর দেশের সিনেমায় দেখা দেয় কমেডি অভিনেতা সংকট। আজও সে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিনেমা অঙ্গন। এ অভিনেতা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করেছেন। কৌতুক অভিনয়কে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। দেশি সিনেমায় কৌতুক অভিনেতা হিসেবে তার অবস্থান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।