বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়েছে এ যাবৎকালে তৈরি হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশযান স্পেসএক্সের স্টারশিপ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে আমেরিকার দক্ষিণ টেক্সাসে অবস্থিত স্পেসএক্সের লঞ্চ প্যাড থেকে যাত্রা শুরু করেছিল যানটি। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানির ১২০ মিটার দীর্ঘ রকেট স্টারশিপ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩৩ মিনিটে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করে। স্বাভাবিকভাবে রকেট উৎক্ষেপণের তিন মিনিটের মধ্যেই উপরের অংশ থেকে বুস্টারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা না হয়ে উৎক্ষেপণের চার মিনিটের মধ্যে রকেটটিতে বিস্ফোরণ ঘটে, আর তাতে ধ্বংস হয়ে যায় মহাকাশযানটি। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রকেটটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের কথা ছিল। তবে বিভিন্ন অসুবিধার কারণে তা বাতিল করা হয়।
রকেটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোম্পানি স্পেসএক্স আশা করছিল, এই রকেটটি হবে মঙ্গল গ্রহে মনুষ্যযাত্রার প্রথম পদক্ষেপ। তবে স্টারশিপে কোনো মানুষ ছিল না। এটি আয়তনে প্রায় তিনটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সমান। ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠানো যান স্যাটার্ন ভি রকেটের চেয়ে এই রকেট ১০ মিটার লম্বা।
ধারণা করা হচ্ছে, টেকঅফের পর রকেট সিস্টেমটির দুটি অংশ- বুস্টার ও ক্রুজ জাহাজ আলাদা হতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। এদিকে স্পেসএক্স আগেই সতর্ক করেছিল, এবারেও রকেটটির সফল উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা খুব কম। এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের মূল লক্ষ্য ছিল ডেটা সংগ্রহ করা।
রকেট উৎক্ষেপণের এই দুর্ঘটনাকে নির্মাতা কোম্পানি স্পেসএক্স অবশ্য ব্যর্থতা বলে মানতে নারাজ। এ কারণে বিশাল মহাকাশযানটি যখন বিস্ফোরণে মধ্য দিয়ে ধোঁয়ার কুন্ডলীতে পরিণত হয়, স্পেসএক্সের সদর দফতরে তখন চলছিল আনন্দ উদ্যাপন।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রকেটটি মাটি থেকে ঠিকঠাকভাবে উৎক্ষেপণ করাই আপাতত তাদের বড় সাফল্য। সেটি যে লঞ্চ প্যাডেই বিস্ফোরিত হয়নি, এতেই তারা খুশি।
স্পেসএক্সের কর্মীদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্ণধার ইলন মাস্ক। এক টুইটবার্তায় তিনি লেখেন, আজকের উৎক্ষেপণ থেকে অনেক কিছু শেখা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তী উৎক্ষেপণে যা অনেক কাজে লাগবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।