বিনোদন ডেস্ক: চিরবিদায় নিয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (lata mangeshkar)। প্রায় এক মাস হাসপাতালে থেকে
প্রাণঘাতি ক’রোনার সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। ক’রোনাকে হারিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু মৃত্যুর হার মানতেই হলো লতা মঙ্গেশকরের। রবিবারই দেশের তথা বিশ্ব সঙ্গীত জগতে এক গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করে বিদায় নিয়েছেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকরের গোটা জীবনটাই সঙ্গীতের জন্য নিবেদিত ছিল। সারা বিশ্বে ‘কোকিলকণ্ঠী’ নামে যিনি সমাদৃত ছিলেন, তাঁর প্রথম রোজগার ছিল মাত্র ২৫ টাকা! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। লতা মঙ্গেশকরের পরিবারেই সংষ্কৃতির চর্চা ছিল। তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্রেই নাটক ও গানের সঙ্গে পরিচিত হন লতা।
গায়িকার প্রথম সঙ্গীত গুরু তাঁরই দিদিমা। লোকগানের হাত ধরে সঙ্গীত শিক্ষা শুরু করেছিলেন তিনি। যখন তিনি প্রথম রোজগার করেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৩ বছর। ২৫ টাকা দিয়ে রোজগার শুরু করেছিলেন তিনি।
এখন গোটা দেশ তো বটেই, সারা বিশ্বে জনপ্রিয় লতা মঙ্গেশকরের সুরেলা কণ্ঠ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ৯২ বছর বয়সে মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আয় করতেন তিনি। সেই হিসাবে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা আয় করতেন গায়িকা। কিছু সূত্রের দাবি, লতা মঙ্গেশকরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি।
আবার অন্য একটি সূত্রের খবর, বর্তমানে তিনি প্রায় ৩৭০ কোটির মালিক। সঙ্গে রয়েছে কিছু শৌখিন গাড়িও। তালিকায় রয়েছে শেভ্রলে, বুইক থেকে শুরু করে মার্সিডিজও। যশরাজ প্রযোজনা সংস্থার ‘বীর জারা’ ছবির মুক্তির সময়ে এই গাড়িটি উপহার পেয়েছিলেন লতা। গানের রয়্যালিটি থেকে মাসে ৪০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি আয় করতেন সুর-সম্রাজ্ঞী। বছরে পেতেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। কিছু রিপোর্ট দাবি করেছে ‘কোকিলকণ্ঠী’র মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭০ কোটি। দক্ষিণ মুম্বাইয়ের পশ এলাকায় থাকতেন। পেডার রোডে অবস্থিত প্রভাকুঞ্জ ভবনে থাকতেন লতা মঙ্গেশকর। যদিও কোটিপতি হয়েও তিনি ছিলেন মাটির মানুষ। দিদির মতো, মায়ের মতো কাছে টেনে নিতে পারতেন সবাইকে।
কে পাচ্ছেন লতা মঙ্গেশকরের রেখে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।