ধর্ম ডেস্ক : রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের পয়গাম নিয়ে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। হিজরি ১৪৪০ সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ প্রথম রোজা পালন করছেন মুসলমানরা। গতকাল এশার নামাজের পর তারাবির নামাজে অংশ নেন তারা। মসজিদে মসজিদে খতমে তারাবিতে অংশ নিতে ঢল নামে মুসল্লিদের। ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির অন্যতম হলো মাহে রমজানের সিয়াম সাধনা বা রোজা পালন করা।
ইসলামী স্কলারদের মতে, রমজান নামে পরিচিত হিজরি বর্ষপঞ্জির নবম মাসটি খুবই মহিমান্বিত। অন্য মাসগুলোর তুলনায় এ মাসের মর্যাদা ও গুরুত্ব অনেক বেশি। আর রমজান মাসের সেই আভিজাত্য ও স্বাতন্ত্র্যের মূল কারণ পবিত্র কোরআন ও সিয়াম সাধনা। রমজানের পুরো মাসে রোজা রাখা ফরজ এবং এ মাসেই নাজিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কোরআন। তাই এ মাসটি সব মাসের সেরা হিসেবে স্বীকৃত।
আল্লাহপাক বলেন, শাহরু রামাদানাল্লাজি উনযিলা ফি-হিল কোরআন। অর্থাৎ রমজান মাস, এ মাসেই অবতীর্ণ করা হয়েছে পবিত্র কোরআন। কোরআন নাজিলের এই মহিমান্বিত মাসকেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম রোজা পালনের মাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, যা বান্দার প্রতি মহান প্রভুর এক অতি উত্তম অনুগ্রহ।
রমজান মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, পাপাচার ও কামাচার থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। হাদিসে কুদসিতে এসেছে, আস্সাওমু লি ওয়া আনা আজযি বিহি। অর্থাৎ আল্লাহপাক বলছেন, রোজা শুধু আমার জন্য, আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব। এ কথাটিই অন্যত্র এভাবে এসেছে, রোজা আমার জন্যই পালন করা হয়, আর আমি নিজেই এর প্রতিদান হয়ে যাই। অর্থাৎ রোজা রাখার মাধ্যমে রোজাদার আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হন। এমনকি মহান আল্লাহকেই পাওয়ার যে উদগ্র বাসনা প্রত্যেক খোদাপ্রেমী মানুষের মাঝে বিরাজমান, সিয়াম পালনের মাধ্যমে সেই পরম কাঙ্ক্ষিত বিষয়টিই অর্জিত হয়ে থাকে। যেমন রোজা পালনের পরিপ্রেক্ষিতে রাসূল (দ.) বলেছেন, লিস্সায়েমে ফারহাতান ফারহাতু ইন্দা ফিতরিহি ওয়া ফারহাতু ইন্দা লিকাই রাব্বিহি। অর্থাৎ রোজাদারের খুশির সময় হলো দুটি। প্রথমত, ইফতারের সময় আর দ্বিতীয়ত, পরম প্রভুর সাথে সাক্ষাতের সময়। এ হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, রোজাদার ব্যক্তি রোজা পালনের মধ্য দিয়ে পরম সত্ত্বার সাথে দেখা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন।
পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর ১ জুন : চাঁদ দেখার সাপেক্ষে আজ মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস গণনা শুরু হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ জুন শনিবার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর পালিত হবে। গত সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী হাসান আহমেদ, ওয়াকফ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. খলিলুর রহমান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. জয়নাল আবেদীনসহ কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : আজাদী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।