নিজস্ব প্রতিবেদক: টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আজ বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পাকিস্তানের মাওলানা খুরশিদ আলম এ বয়ান করেন।
আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা মুহম্মদ জুবায়ের আহমেদ।
আগামী ১২ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্ব। এরপর চারদিন বিরতি দিয়ে ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ইজতেমায় যোগ দিতে দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা ট্রাক, পিকআপ, ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে লাখো মুসল্লির ঢল এখন তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে।
ইজতেমা ময়দানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এবার ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৮হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাড়তি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠের ভেতর ও বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
১৬০ একর জমির ওপর প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল চটের প্যান্ডেলের সামিয়ানার নিচে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, তাদের ব্যবস্থাপনায় ৮টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪টি এবং র্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে ব্লিচিং পাউডার ও মশক নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন ও ধুলোবালি যাতে না ওঠে সেজন্য পানি ছিটানোর ব্যবস্থা থাকছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুসল্লির সমাগমকে সামনে রেখে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি গ্যালন পানির ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তি টয়লেট নির্মাণ ও পাকা টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে মুসল্লিদের কোনো সমস্যা হবে না।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তায় পুরো ইজতেমা ময়দান ও এর আশেপাশে এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকছে পুরো ময়দানজুড়ে। খিত্তায় খিত্তায় নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ইজতেমায় ৮ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে।
এবারের ইজতেমা রেকর্ড সংখ্য মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমার মাঠের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। আগের খিত্তাগুলোর সঙ্গে এবার অতিরিক্তি ১৪টি খিত্তা যোগ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।