আলুসহ বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম গত রমজান থেকে কম। সয়াবিন তেল নিয়ে একটি বড় সংকট থাকলেও আস্তে আস্তে সংকট কেটে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে বাজারে সব পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে। ভোক্তারা মনে করেন যে, সরকারের কিছু পদক্ষেপের কারণে দাম মোটামুটি সহজে পর্যায়ে রয়েছে।
তবে সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে এবং বাজারের অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কঠোর মনিটরিং দরকার। বিগত বছরের সাথে তুলনা করলে এবার মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে। মুদি দোকানের পণ্য এবং কাঁচাবাজার সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
গত বছর রোজায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রায় ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এবার তা কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। টিসিবির হিসাবে এক বছরে পেঁয়াজের দাম কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায় যা গত বছর ছিল ৫০ টাকা।
একই চিত্র মুরগির বাজারেও। আগের বছরের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি ৩০০ টাকার বদলে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর গরুর মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ বছর তা ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় মিলছে।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘কাঁচা বাজারে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তেলের বাজারে স্বস্তি নেই। সয়াবিন তেল তো কিছুদিন ধরে উধাও ছিল, এখন বাজারে মোটামুটি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তো চাই জিনিসপত্রের দাম কমুক। মানুষজন বাঁচুক।’
গত বছর ১৬০ টাকায় চিনি বিক্রি হলেও এবার তা ১২০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। কমেছে ছোলা ও বিভিন্ন পদের ডালের দামও। এনবিআর থেকে আমদানি শুল্ক কমানোয় কমেছে সব ধরনের খেজুরের দাম। রমজানের শুরুতে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিলেও এখন আর নেই।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘যে সাদা চিনি ছিল ১৪৫ টাকা কেজি, সেটা এখন ১২০ টাকা। সরবরাহ ভালো, দামও কম আছে। তেলের সরবরাহ একটু কম ছিল। এখন গত দুই দিন পর এটা বেড়েছে।’
শসা, লেবু গত বছর ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার তা ৪০ থেকে ৬০ টাকায় কেনা যাচ্ছে। কমেছে টমেটো, কাঁচামরিচের দামও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।