যুক্তরাষ্ট্র এবং কলম্বিয়া একে অপরকে পাল্টাপাল্টি শুল্কের হুমকি দিচ্ছিল। এ বিষয়টি মূলত অভিবাসনকে কেন্দ্র করে ঘটেছিল। দুটি মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ অবতরণ করতে দেওয়া না হলে এক প্রকার দ্বন্দ্বের মতই ঘটনা ঘটে। কলম্বিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যেন কোন বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু না হয় সেজন্য দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান একমত হয়েছেন।
কোন ধরনের শুল্ক বাদ দিয়ে যেন অভিবাসী প্রত্যাবাসন করা যায় সেক্ষেত্রে দুই দেশ রাজি হয়েছে। কোন ধরনের শর্ত বাদেই অভিবাসী নিবে কলম্বিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র, এখানে কোন শুল্ক আরোপ করবে না। ট্রাম্প তার কঠোর নীতিতে অব্যাহত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে গতকাল রোববার অভিবাসী বহনকারী দুটি মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ কলম্বিয়ায় অবতরণ করতে দেননি দেশটির প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেছিলেন, কলম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব পণ্যের ওপর অবিলম্বে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে এই শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ করা হবে।
এরপর কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার ওপর শুল্ক আরোপ করলে তারাও পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।
পেত্রো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা অভিবাসী বহনকারী দুটি মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজ অবতরণ করতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নাগরিকদের বেসামরিক বিমানে গ্রহণ করব। তাদের অপরাধী হিসেবে দেখব না। অভিবাসীদের মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে ফেরত পাঠাতে হবে।’
অন্যদিকে কলম্বিয়া নিজেদের নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষা করতে সবকিছু করতে রাজি। মার্কিন অনুরোধে জাহাজ কলম্বিয়ায় অবতরণ করতে দেওয়া না হলে ট্রাম্প রোববারে বলেছিলেন যে, কলম্বিয়া এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখলে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করা হবে।
তখন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পাল্টা শুল্ক কার্যকর করার হুমকি দিয়েছিলেন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেট্রো জানান যে, আমরা কারো নিষেধাজ্ঞাকে ভয় পাই না। তবে আলোচনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ বিরোধ নিষ্পত্তি হয়ে যায়। এমনকি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তাদের কোন আপত্তি নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।