বাংলাদেশের জনপ্রিয় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান গত বছর জুলাই-অগাস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিজের নীরব ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পোস্টের এক বছরও না পেরোতেই তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নীরব থাকার কারণে সমালোচিত সাকিব আগে বিদেশে অবস্থান করছিলেন। অভ্যুত্থানের পরে দেশে ফেরা তার জন্য রাজনৈতিকভাবে কঠিন হয়ে পড়ে। গত বছরের অক্টোবরে তিনি দেশীয় ভক্তদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে লিখেছিলেন, “আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই সকল ছাত্রদের, যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন। তাদের পরিবার ও আত্মত্যাগের প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে শ্রদ্ধা ও সমবেদনা।”
তবে রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সাকিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে নেটিজেনদের ক্ষুব্ধ করেছেন। তাঁর এমন দ্বৈত আচরণে সমালোচনা করছে সামাজিক মাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতারা।
জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সহ-সভাপতি আবু সাদিক কায়েম বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের একমাত্র পরিচয় খুনি ও গণহত্যাকারী। ক্রিকেটার সাকিব ও রাজনীতিবিদ সাকিব আলাদা—এই বয়ান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা যারা করেছেন, জাতির কাছে তা স্পষ্ট।”
এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সাকিবকে কঠোর সমালোচনা করে লিখেছেন, “টাকার কাছে নিজেকে বাঁচানো, শুয়োর রক্তে কেনা বাংলাদেশের জার্সি আর দেশের মাটিতে কোনোদিন গায়ে দিতে পারবে না।”
ডাকসুর ভিপি আরও যোগ করেছেন, “দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী আমলে সব স্তরে বসা ফ্যাসিস্ট, দোসর ও ফ্যাসিবাদী কাঠামো ভেঙে চুরমার করা না হওয়া পর্যন্ত জুলাই প্রজন্ম ক্ষান্ত হবে না।”
সাকিব আল হাসানের এই দ্বৈত আচরণ নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, ক্রীড়ার মঞ্চে তার জনপ্রিয়তা থাকলেও রাজনৈতিক ও সামাজিক সংবেদনশীলতায় তার অবস্থান কতটুকু গ্রহণযোগ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।