
শুত্রবার (২০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে আরিফুর রহমান রঞ্জু (৪২) নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এ আসামি।
শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হাফিজ আক্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আরিফুর রহমান রঞ্জু সেসময় কলারোয়া থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার নেতৃত্বেই তখনকার বিরোধীদলের নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়।
রঞ্জু ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান।
সড়কপথে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি গাড়ি। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বোমা বিস্ফোরনের ঘটনাও ঘটে।
সে সময় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা করা হয়। ঘটনার ১৯ বছর পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার একটি আদালত ৫০ জনকে নানা মেয়াদে সাজা প্রদান করে।
সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় । ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া বাকি দুজন হলেন মো. আরিফুর রহমান ওরফে রঞ্জু ও রিপন। তবে রিপন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক আরেক আসামি যুবদল নেতা আব্দুল কাদের বাচ্চুকে দেয়া হয়েছে নয় বছরের কারাদণ্ড। বাকি ৪৬ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
মামলায় এ পর্যন্ত ২০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ৫০ আসামির মধ্যে ১৫ জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



