জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি চান নারী সংসারের হাল ধরুক।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন তার পিতার কাছ থেকে রাজনীতি নিয়েছেন, অন্য দিকে তার মাতার স্বর্বংসহা অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে মানিয়ে নেবার বিরল ক্ষমতা তা প্রধানমন্ত্রীর আছে। প্রধানমন্ত্রী কখনো মরণের ভয় পান না, তিনি সব কিছু উপেক্ষা করে এগিয়ে যান। একেই বলে নেতা।’
মতিয়া চৌধুরী বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, ‘অতিমারী কোভিট-১৯ শেষে আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি কিন্তু বিশ্ব ভয়াবহ ইউক্রেন যুদ্ধ যা কেউই চিন্তা করতে পারেনি। একই সঙ্গে আমরা দেখতে পারছি সমগ্রবিশ^ যুদ্ধের কারণে শুল্ক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়ে পড়েছে। বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশগুলো অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে। কোভিট সংকট শেষে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফিতি বিশে^ খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করেছে বলে খাদ্য মূল্য বেড়ে গেছে। বিশ^ ব্যাপী সম্পদ ও আয়ের বৈষম্য বেড়েছে, যা আমরা দ্বিতীয় বিশ^ যুদ্ধের সময় দেখতে পেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক এই পরিম-লে ২০২২ সাল ছিল আমাদের জন্য কঠিন সময়, এই সাথে গৌরবের সময়, কেননা ২০২২ সালে আমরা নিজম্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আজকে এই সেতু পার হয়ে মানুষ মেট্রো রেল দেখে তাদের আশা মিটাচ্ছে।
সংসদ উপনেতা বলেন, ‘যখন আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে যাই তখন আমরা দেখতে পাই বিএনপি কিভাবে আন্তর্জাতিক পরিম-লে কুৎসা রটনা, অসত্য তথ্য পরিবেশন করে আমাদের অর্থনৈতিক গতিকে স্লথ করে দেবার জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল।
এসময় মতিয়া চৌধুরী ‘বিএনপি’কে ‘বাংলাদেশ না ও পাকিস্তান পার্টি’ বলে অভিহিত করেন। মতিয়া চৌধুরী বলেন, তারা পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে, পেয়ারের পাকিস্তানে না হলে তারা সুন্দরভাবে জীবন যাপনের চিন্তা ভাবনা করতে পারে না। কিন্তু যে টাকাটা লন্ডনে যাচ্ছে, বেগম জিয়া যেটাকা ভোগ করছেন, সেটা কিন্ত এদেশের মানুষের ঘাম ঝরানো টাকা।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন সরকারের আসে তার আগের বিএনপির অর্থমন্ত্রী কিন্ত ভাতের বদলে আলু খাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিএনপি আমলে সারা দেশে নৈরাজ্য অরাজকতা বিরাজ করছিল। এই অসময়ে শেখ হাসিনা জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। আজ কিসিঞ্জারের সেই তলাবিহীন দেশের কতটা উন্নতি ঘটেছে, তা দেখতে আসার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে ভিন্ন মত থাকবে কিছু বিরোধীতা থাকবে, কিন্তু এভাবে মানুষ হত্যা? বিএনপি তা করে দেখিয়েছে। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, বাস ট্রেনে, স্কুল কলেজে আগুন দিয়ে জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করেছে। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।