আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী: প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীতে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ছিল। নারীরাই সংসার, পরিবার, গোষ্ঠী ও গোত্র পরিচালনা করত। এমনকি স্বাধীনভাবে স্বামী নির্বাচন করত।
তারপর পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আবির্ভাব। নারীকে গৃহকোণে ঠেলে দিয়ে পুরুষের রাজত্ব, শোষণ ও শাসন বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা আজ অবধি চালু আছে। নারী জাতি পুরুষের সমানাধিকার লাভের জন্য সংগ্রাম চালাচ্ছে।
কিন্তু এই আধুনিক যুগে পুরুষ বিশেষজ্ঞদের গবেষণা দ্বারাই প্রমাণিত হচ্ছে, সব যুগেই কিছু নারীর আবির্ভাব হয়েছে, যারা খ্যাতনামা পুরুষদের চেয়েও দেশনেতা ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অধিক যোগ্যতা ও কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
বর্তমানের কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের বিশ্বব্যাপী হামলার সময়েও প্রমাণিত হয়েছে এই সমস্যা মোকাবেলায় পুরুষ নেতাদের চেয়ে বহু ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্বই অনেক বেশি দক্ষতা ও কৃতিত্বের প্রমাণ দিয়েছে।
২৫ এপ্রিল শনিবারের ‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকা এ সম্পর্কে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। তা থেকে দেখা যায়, করোনার মতো গোটা বিশ্বের জন্য ভয়াবহ সংকট মোকাবেলাতেও পুরুষ সরকারপ্রধানদের চেয়ে নারী সরকারপ্রধানরা, এমনকি পুরুষের চেয়ে নারী বিশেষজ্ঞরাও অনেক বেশি কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন। এই সমীক্ষা নিয়ে পরে আলোচনায় আসছি।
তার আগে প্রাচীন যুগে যখন নারীকে গৃহকোণ থেকে বের হতে দেয়া হতো না, সে যুগেও রাজনীতি ও কূটনীতি থেকে রাজ্য শাসন পর্যন্ত নারীদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের দু’একটা উদাহরণ টানছি। একেবারে সিজারিয়ান যুগে যাই। এ যুগে মিসরের রানী ক্লিওপেট্রার কথা আজ বিশ্ববিদিত।
ক্লিওপেট্রার রাজনীতি ও কূটনীতির কাছে জুলিয়াস সিজার এবং তার পরবর্তী রোমান জেনারেলরা হিমশিম খেয়েছেন। ভারতে পাঠান যুগের কথায় আসি। বর্তমান বাংলাদেশের জামায়াতিরা প্রচার করে থাকেন, ইসলামে নারী নেতৃত্ব নাজায়েজ বা নিষিদ্ধ।
কিন্তু সেই পাঠান রাজত্বকালেও দিল্লির সিংহাসনে বসেছিলেন সুলতানা রাজিয়া। তিনি রাজনীতির কৌশল ও যুদ্ধে সব পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে ভারতের সম্রাজ্ঞী হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে যত বিদ্রোহ হয়, তার প্রতিটি দমনে তিনি তার সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন, জয়ী হন।
একবার তার এক সেনাপতি আলতামাস বিদ্রোহী হয়ে লাহোর অবরোধ করলে সুলতানা রাজিয়া তাকে দমন করতে গিয়ে তার হাতে বন্দি হন।
কৌশলী রাজিয়া জয়ী আলতামাসের কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেন এবং আলতামাসকে বিয়ে করে তাকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি পুনরুদ্ধার করেন এবং সিংহাসনে বসেন। তাকে কোনোমতেই ক্ষমতা থেকে সরাতে না পেরে তার দরবারের ষড়যন্ত্রকারীরা আকস্মিকভাবে রাজিয়া এবং আলতামাস দু’জনকেই হত্যা করে।
আধুনিক যুগে ইসরাইল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব শক্ত করেছেন এক মহিলা প্রধানমন্ত্রী গোল্ডামেয়ার। তাকে নিয়ে হলিউড একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে, যাতে গোল্ডামেয়ারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিখ্যাত অভিনেত্রী ইনগ্রিড বার্গম্যান।
আর্জেন্টিনাকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন মিসেস ইভা পেরন। তার জন্য আর্জেন্টিনার মানুষ এখনও শোকগাথা গায়- ‘Don’t cry for me Argentina’। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধোত্তর ব্রিটেনকে আবার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা করে তুলেছেন এক মহিলা প্রধানমন্ত্রী মিসেস মার্গারেট থ্যাচার।
আধুনিক গণতান্ত্রিক ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু। কিন্তু তাকে বাস্তব রূপ দিয়েছেন তার কন্যা মিসেস ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭০ সালে তার মতো কঠিন নারীব্যক্তিত্ব দিল্লিতে ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্য দেয়া সম্ভব হতো না।
তাকে তার পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীরা ক্ষমতা থেকে হটাতে পারেননি। সুলতানা রাজিয়ার মতো তাকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করতে হয়েছে। আধুনিক বিশ্বের সবল ও সফল নারী নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের শেখ হাসিনাকেও ধরা হয়। তার কপাল ভালো।
তার উপরেও ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। আমাদেরও কপাল ভালো। তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই বিশ্বজোড়া এই করোনা সংকটের সময় বাংলাদেশ তার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নেতৃত্ব পাচ্ছে।
এবার ‘গার্ডিয়ানের’ নারী নেতৃত্ব সম্পর্কিত সমীক্ষায় আসি। এ সমীক্ষায় দেখা যায়, যেসব নারী নেতা হৃদয়ে কোমল এবং গণতান্ত্রিক; কিন্তু আচরণে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্তৃত্ববাদী, তারাই সংকট মোকাবেলায় অধিক সফল হচ্ছেন।
চার্চিল, নেহেরু, থ্যাচার ও ইন্দিরা গান্ধীরা গণতান্ত্রিক নেতা হয়েও ছিলেন কর্তৃত্ববাদী। দেশের সংকটকালে তাদের কর্তৃত্ববাদী সিদ্ধান্ত দেশকে সংকটমুক্ত করে।
দুর্বল নেতৃত্ব দ্বারা গণতন্ত্রও রক্ষা পায় না। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সমালোচকরা তাকে কর্তৃত্ববাদী নেতা বলে অভিযোগ করেন। কিন্তু তার নেতৃত্ব দেশকে একবার নয় বহুবার গভীর সংকটকালে রক্ষা করেছে।
তার সবল নেতৃত্ব ছাড়া ’৭১-এর মানবতার শত্রুদের শাস্তি দেয়া যেত না। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা যেত না। বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বদলে দেশ তালেবান রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হতো। আশা করা যায়, তার ‘কর্তৃত্ববাদী’ নেতৃত্বেই বাংলাদেশ এই মহামৃত্যুর মিছিল থেকে শিগগিরই বেরিয়ে আসতে পারে।
গার্ডিয়ানের সমীক্ষায় করোনার বিরুদ্ধে সফল সংগ্রামরত নারী নেতৃত্ব যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও কর্তৃত্ববাদী, তা বোঝা যায়। তারা করোনা দমনে সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন দ্বারা কঠোর সিদ্ধান্তগুলো তাদের জানিয়েছেন এবং তা মেনে চলার ব্যাপারে তাদের বাধ্য করেছেন।
গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ এ ধরনের সবল নেতৃত্ব ভালোবাসে। দুর্বল নেতৃত্ব চায় না। বড় বড় সাম্রাজ্যও সবল নেতৃত্বের জন্য রক্ষা পায়। দুর্বল নেতৃত্বের সময় ভেঙে পড়ে। লেনিন ও স্ট্যালিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনে সোভিয়েত ইউনিয়ন ৭০ বছর টিকে ছিল। গর্বাচেভ ও ইয়েলৎসীনের দুর্বল নেতৃত্বের সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়।
এবারের করোনা সংকটের সময় দেখা যাচ্ছে, যেসব দেশে নারী নেতৃত্ব বর্তমান এবং তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কর্তৃত্ববাদী, তারা করোনা ঠেকাতে অন্য দেশের পুরুষ নেতাদের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক সফল।
গার্ডিয়ানের সমীক্ষায় দেখা যায়, সেন্টমার্টিন রাজ্যের জনসংখ্যা মাত্র ৪১ হাজার ৫০০। এই দ্বীপে হাসপাতাল নেই বললেই চলে। হাসপাতালে আইসিইউ বেড মাত্র দুটি। তা সত্ত্বেও মহামারী দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সিলভারিয়া জ্যাকব তার জনসাধারণকে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় জানান, তিনি লকডাউন তাদের ওপর চাপাবেন না।
কিন্তু প্রত্যেককে পরস্পরের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। নইলে শাস্তি, তোমাদের ঘরে যদি রুটি না থাকে, তাহলে ক্রাকার্স, সিরিয়ালস যা আছে তাই নাও। কিন্তু রুটি কেনার জন্য ঘর থেকে বের হতে পারবে না।’ এই নির্দেশ বাস্তবায়নে তার কঠোরতা দ্বীপটিকে মহামারীর দাপট থেকে অনেকটা বাঁচিয়েছে।
জার্মানি থেকে নিউজিল্যান্ড এবং ডেনমার্ক থেকে তাইওয়ান পর্যন্ত নারী নেতৃত্ব করোনাকে অনেক বেশি সাফল্যের সঙ্গে ঠেকিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের ৩৯ বছর বয়সের নারী প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেরি না করে মহামারী দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন ঘোষণা করেন এবং প্রতিদিন জনসাধারণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে সরকারি নির্দেশ পালনে তাদের অনুপ্রাণিত করেন। এই প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডান বহিরাগতদের জন্য ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার কঠোর ব্যবস্থা করেন।
নিউজিল্যান্ডে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৩ জনের। এই ‘কর্তৃত্ববাদী’ প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ৮০ শতাংশ।
জার্মানিতে চ্যান্সেলর মার্কেলের জনপ্রিয়তা বিপুল হারে বেড়েছে। তার দেশে করোনা দেখা দেয়ার আভাস পাওয়ামাত্র তিনি কঠোর নীতি গ্রহণ করেন।
জনগণের কাছে কোনো কথা গোপন না রেখে তিনি জাতিকে এই বলে সতর্ক করেন যে, ‘আমরা ১৯৪৫ সালের চেয়েও ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন। আমরা এখনই সতর্ক না হলে জনসংখ্যার ৭০ ভাগ এই রোগে আক্রান্ত হবে।’
তার সরকার কী করবে সে জন্য অপেক্ষা না করে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিজস্ব কর্তৃত্ব খাটাচ্ছেন। তিনি রোগের আভাস পাওয়ামাত্র লকডাউনের ব্যবস্থা করেন এবং স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বরিস জনসনের মতো সমস্যাটিকে প্রথমে উপেক্ষা করেননি। তার জনপ্রিয়তাও ৭০ শতাংশ পেরিয়েছে। জার্মানিতে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
ডেনমার্কের মেটে ফ্রেডারিকসন দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। তিনি রোগ শুরু হওয়ার আগেই কঠোর নীতি গ্রহণ করেন এবং নিজের ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে ভাইরাসবিরোধী অভিযান চালান। তিনি শুরুতেই দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেন।
স্কুল-কলেজ বন্ধ করেন এবং ১০ জনের বেশি মানুষের একত্র হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেলের মতো তিনি আগে আগেই এক্সটেনসিভ টেস্টিং ব্যবস্থা করেন। ডেনমার্কে করোনায় মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৩৭০।
করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তাইওয়ানের নারী প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। তিনি রোগ দেখা দেয়ার আগেই দ্রুত নিজ হাতে সব ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
জানুয়ারির শুরুতেই তিনি সেন্ট্রাল এপিডেমিক কমান্ড সেন্টারকে সক্রিয় করেন এবং কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাসহ পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেন। তার কঠোরতা প্রথমে সমালোচিত হয়েছে।
কিন্তু এখন প্রশংসিত হচ্ছে। তাইওয়ানে মৃতের সংখ্যা মাত্র ৬ । তাইওয়ান মুখের মাস্ক তৈরি করে শুধু নিজ দেশের চাহিদা মেটায়নি; আমেরিকা ও ইউরোপকেও দিয়েছে। এই নারী প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে গার্ডিয়ানের মন্তব্য- ‘সাইর উষ্ণ এবং কর্তৃত্ববাদী ধরন সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। এমনকি তার প্রতিপক্ষেরও।’
আইসল্যান্ডের নারী প্রধানমন্ত্রী কার্টিনের নেতৃত্বে করোনার বিরুদ্ধে সাফল্য বিস্ময়কর। মৃতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ১০। কার্টিন তার দেশের সবার জন্য এই রোগের ফ্রি টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।
তিনি স্কুল-কলেজ বন্ধ না করে তাতে নজরদারি রেখেছিলেন কঠোরভাবে। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাল্লা মেরিন কঠোর হাতে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই নারী প্রধানমন্ত্রীদের সবারই ব্যবস্থা ছিল- ‘রোগের পরীক্ষা, রোগ ধরা এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা।’
উল্লেখিত দেশগুলোর মতো ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতা বাংলাদেশের খুবই কম। রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা দুর্বল, আমলাতন্ত্র দুর্নীতিপরায়ণ।
এই অবস্থায় শেখ হাসিনার মতো এক পরীক্ষিত প্রধানমন্ত্রী, যিনি কর্তৃত্ববাদের অভিযোগের মুখেও দেশকে অতীতে আগের বড় বড় বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেছেন, তিনি এই বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের সময়ে দেশে ক্ষমতায় রয়েছেন এবং ভাইরাস দমনের ব্যবস্থাপনা নিজের হাতে রেখেছেন। গার্ডিয়ানের সমীক্ষায় তার নাম যুক্ত হওয়া উচিত ছিল।
তবু শেখ হাসিনা জেনে সুখী হবেন, বিশ্বের বেশ ক’টি দেশে করোনার সঙ্গে যুদ্ধে নারী নেতৃত্বই বেশি সাফল্য দেখাচ্ছে। নারীরা এখন সমাজ ও রাষ্ট্রের সব কাজেই নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসছেন। তাহলে পুরুষতন্ত্রের পর বিশ্বে আবার কি নারীতন্ত্র তথা মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ফিরে আসছে?
লন্ডন, ২৬ এপ্রিল, রবিবার, ২০২০
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।