আবদুল মান্নান : ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভ কামনা। মা-বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য বেঁচে থাকলে দিনটি হয়তো ঘটা করে পালিত হতো। কিন্তু এই দিনটি এখন অত্যন্ত ঘরোয়া পরিবেশে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পালিত হয়। এ বছর তাঁর জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থাকার কথা। আগের দিন তাঁর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা আছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করার পর দীর্ঘদিন শেখ হাসিনার জীবনে জন্মদিন বলতে যা বোঝায় তা তেমন একটা আসেনি। দুই দশক ধরে দিনটি অনেকটা সাদামাটাভাবে পালন করা হয়। একাত্তরের উত্তাল সময়ে মার্চ মাসের ১৭ তারিখ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এক বিদেশি সাংবাদিক তাঁকে মনে করিয়ে দিলেন আজ তাঁর জন্মদিন। উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি তো আমার জন্মদিন পালন করি না।’ তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার বেলায়ও তাই। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশের আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর যখন তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়েছিলেন তখন কে জানত শেখ মুজিব আর বেগম ফজিলাতুন্নেছার ঘর আলো করে যে ফুটফুটে শিশুটির জন্ম হয়েছিল, তিনি একদিন শুধু একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীই হবেন না, হবেন একজন বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক আর একটি দেশের চরম দুর্দিনের কাণ্ডারি। হয়ে উঠবেন একজন অমিত তেজের সাহসী রাজনৈতিক নেতা, যিনি অন্যের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারেন নির্দ্বিধায়, সহজে দূরের কাউকে আপন করে নিতে পারেন। কোনো একজন অর্বাচীনকে মুখের ওপর বলে দিতে পারেন ও I have forgiven but not forgotten. এমন সত্য অকপটে উচ্চারণ করতে হলে সাহস লাগে, যেটি তিনি পেয়েছিলেন পিতার কাছ থেকে। শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থেই জাতির পিতার যোগ্য উত্তরাধিকার।
শেখ হাসিনা যে ইতিহাসের পথ বেয়ে হেঁটেছেন, তেমন পথ বেয়ে হাঁটতে সমসাময়িক ইতিহাসে কাউকে খুব একটা দেখা যায়নি। জন্মের পর থেকে দেখেছেন পিতা একজন রাজনৈতিক কর্মী। যেখানেই অন্যায় সেখানেই তাঁর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। ৫৫ বছর বয়সে যখন পিতা ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন তখন কন্যার বয়স ২৮ বছর। স্বামী, সন্তান আর ছোট বোন রেহানার সঙ্গে স্বামীর কর্মস্থল জার্মানি থেকে বেড়াতে গেছেন ব্রাসেলস। ২০ বছর বয়সে ১৯৬৭ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যার বিয়ে হয় বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে তখনো পিতা কারাগারে। তাঁর বিরুদ্ধে তখন রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা (আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা)। কথা ছিল, ছেলেপক্ষ বিয়ের কথাবার্তা পাকা করতে আসবে। পিতা কারামুক্ত হলে অনুষ্ঠান করে কনে তুলে নিয়ে যাবে। পরে খবর এলো—না, একই দিন ছেলেপক্ষ বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে ফেলতে চায়। অনুষ্ঠান মেয়ের বাবা কারাগার থেকে ছাড়া পেলে হবে। বিয়ের অনুষ্ঠান যত ছোট এবং অনাড়ম্বরই হোক না কেন, কিছু খরচপাতির ব্যাপার আছে। খাওয়াদাওয়ার আয়োজন তো করতে হবে। আত্মীয়স্বজনের সহায়তায় তারও একটা ব্যবস্থা হলো। বিয়ের পর বর-কনে বঙ্গবন্ধুকে (তখনো তিনি বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত হননি) কারাগারের গেটে গিয়ে সালাম করে আসেন।
কিছুদিন পর বঙ্গবন্ধুকন্যার বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন জানে আলম দোভাষ, জহুর আহম্মদ চৌধুরী, এম এ আজিজ, ইউসুফ মিয়া, সুলতান আহম্মদ, ডা. সাইদুর রহমান, জামালউদ্দিন প্রমুখ। বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল চট্টগ্রামের রাইফেলস ক্লাবে। সেই আমলে সংবর্ধনায় প্রায় তিন হাজার অতিথির আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনা যখনই চট্টগ্রামের কোনো জনসভায় বক্তৃতা করেন তখনই তাঁর জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতির কথা বলতে ভোলেন না। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্ম ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক স্যাঁতসেঁতে কেবিনে। তখন বাঙালির ইতিহাসের এক ক্রান্তিকাল। চারদিকে চলছে দখলদার পকিস্তানি বাহিনী আর তাদের এ দেশীয় দোসরদের গণহত্যা, লুটতরাজ আর অগ্নিসংযোগ। বেগম মুজিব তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে গৃহবন্দি। মেয়েকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার অনুমতি নেই। অনেকটা জোর করে কেবিনে ঢোকেন বেগম সুফিয়া কামাল আর নার্গিস জাফর (কবি সিকান্দার আবু জাফরের স্ত্রী)। যাঁর বেড়ে ওঠা, সংসার শুরু, আর প্রথম সন্তান জন্ম দেওয়ার ইতিহাস এমন কঠিন সময় পার হয়ে এসেছে যে তাঁর কোনো জন্মদিন পালন করার চিন্তা করাটাই একসময় ছিল বিলাসিতা। ১৯৭৭ সালে লন্ডনে একমাত্র বোন শেখ রেহানার যখন বিয়ে হয়, সেই বিয়েতে শেখ হাসিনার যাওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ তাঁর বিমানভাড়ার টাকা ছিল না ।
বেগম জোহরা তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে চেষ্টা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু-পরবর্তী ছত্রভঙ্গ আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবন দান করতে। কিন্তু তেমন একটা সুবিধা হয়নি। সবাই বুঝে গিয়েছিল, এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে পারে বঙ্গবন্ধুর রক্তের একজন উত্তরাধিকার। বেঁচে তো আছেন মাত্র দুজন। শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা। রেহানা তখনো একজন কিশোরী। রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা তেমন একটা নেই, যেমন আছে বড় বোনের। শেখ হাসিনা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। ইডেন গার্লস কলেজের ভিপি ছিলেন। ছয় দফা আন্দোলনের সময় রাজপথে ছিলেন। ১৯৮১ সালের ফেরুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিলে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে প্রবাস জীবনযাপনকারী শেখ হাসিনাকেই বানানো হলো দলের সভাপতি। তবে যাঁরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবার উদ্দেশ্য মহৎ ছিল তা বলা যাবে না। তাঁদের কারো কারো বিশ্বাস ছিল, শেখ হাসিনার মতো একজন নারীর এত বড় একটি দল পরিচালনা করার মতো বিচক্ষণতা নেই। তিনি নামে মাত্র সভাপতি হবেন। আসল নেতৃত্বে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু মে মাসে দেশে ফিরে তাঁদের হতাশ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সেই সময় শেখ হাসিনার জন্য পরিস্থিতি এমনই নাজুক ছিল যে, যে বাড়িতে তাঁর গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল—ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের সেই বাড়িতেই তাঁকে জিয়া প্রবেশ করতে দেননি। নিহত পরিবারের সদস্যদের জন্য করতে পারেননি মোনাজাত বা আয়োজন করতে পারেননি কোনো দোয়া মাহফিলের। কিছু নিবেদিতপ্রাণ দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে সামনের রাস্তায় বসে মিলাদ পড়িয়েছিলেন। সেই শেখ হাসিনা কেমন করে তাঁর জন্মদিন পালন করেন!
পরিবার হারানোর প্রাথমিক শোক সামলে উঠে কিছুদিন পরই দল গোছানোর কাজে নেমে পড়েছিলেন। সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নেতাকর্মীদের জড়ো করাটাই তখন তাঁর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বঙ্গবন্ধু যাঁদের ওপর ভর করে দল পরিচালনা করতেন তাঁদের অনেকেই চলে গিয়েছিলেন জিয়ার দল বিএনপিতে। জিয়ার মৃত্যু হলে কেউ কেউ আবার এরশাদের জাতীয় পার্টিতেও চলে যান। কয়েকজন আবার রং বদলে ফেরেন মূল দলে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে শেখ হাসিনার প্রথম বড় পরীক্ষা ছিল এরশাদবিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলন প্রথমে শুরু করেছিল এ দেশের ছাত্রসমাজ। পরে যোগ দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সাতদলীয় জোট। কিন্তু যেহেতু বিএনপির আন্দোলন করার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না, সেহেতু এরশাদবিরোধী আন্দোলন ততক্ষণ কোনো জোর পায়নি যতক্ষণ তাতে না আওয়ামী লীগ যোগ দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রথম দিকে যোগ দিয়েছিল আরো ১৪টি সমমনা দল, যাদের মধ্য থেকে সাতটি বামপন্থী দল পরে আলাদা হয়ে যায়। এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ধারণা ছিল, সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় অনিবার্য। সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। কারণ তারা বিএনপির চাতুর্য ধরতে পারেনি। বিএনপি গোপনে আঁতাত করেছিল জামায়াতের সঙ্গে। আর আওয়ামী লীগকে তাদের জোটের শরিকদের ছেড়ে দিতে হয়েছিল ৬০টির মতো আসন, যার মধ্যে পাঁচটি বাদে সব কটিতেই তারা পরাজিত হয়েছিল। তার পরও ১৯৯১ সালের নির্বাচন শেখ হাসিনাকে সুযোগ করে দিয়েছিল দলকে ঐক্যবদ্ধ করার। সেই ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয় লাভ করে পিতার মৃত্যুর পর প্রথমবার কন্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। ২১ বছর কোনো দল ক্ষমতার বাইরে থেকে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার ঘটনা অন্য কোনো দেশে ঘটতে দেখা যায় না।
১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা যে অসম্ভব কাজটি সম্ভব করে তুলেছিলেন সেটি হচ্ছে, তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো। জিয়াউর রহমান সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করে এই বিচারকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আবারও অসমাপ্ত বিচারকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেছিলেন একসময় বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র, যার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। দৈবক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে যান দলীয় নেতাকর্মীদের কারণে, যারা সেদিন তাঁর চারদিকে মানববর্ম তৈরি করেছিল। ঠিক একইভাবে শেখ হাসিনা ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছিলেন। চট্টগ্রামের ঘটনায় যে পুলিশ কমিশনার শেখ হাসিনার গাড়িতে গুলি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই মির্জা রকিবুল হুদাকে (একাত্তরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা) পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মবার্ষিকীতে এটি বলতে দ্বিধা নেই, পিতার অনুপস্থিতিতে তিনিই আজ বাংলাদেশ। তিনি শুধু একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি একজন বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক, যাঁকে বিশ্বনেতারা সমীহ করেন। তিনি কথা বললে তাঁরা শোনেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘একটি দেশকে চিতাভস্ম থেকে কিভাবে টেনে তুলতে হয়, তা দেখতে হলে যাও বাংলাদেশে। শিখতে পারো, একজন শেখ হাসিনা কিভাবে শত প্রতিকূলতার মাঝেও তাঁর দেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। শুনতে পারো, কী সাহসে তিনি অকপটে বলতে পারেন অন্য দেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা ১২ লাখ মানুষকে নিজের পাতের অন্নের ভাগ দেওয়ার কথা। অনুভব করতে পারো, যেই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ৪৭ বছর আগে দেশটি স্বাধীন হলো, সেই পাকিস্তান কেন এখন উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে অনুকরণ করতে চায়।’ সেদিন পর্যন্ত যে দেশটির কোনো ভবিষ্যৎ বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদ দেখতে পাননি, সে দেশ কী জাদুতে ২০১৮ সালে এসে বিশ্বের ৩১তম শক্তিশালী অর্থনীতি (পিপিপি অনুযায়ী) হিসেবে পরিচিত হলো। শেখ হাসিনার এক দশকের নিরবচ্ছিন্ন আর ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ বর্তমানে যে জায়গায় অবস্থান করছে, তাতে একজন শেখ হাসিনা হয়ে গেছেন বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যতই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন নতুন বন্দরে নোঙর ফেলছে ততই দেশে তাঁর শত্রুর সংখ্যাও বাড়ছে। তাঁকে শেষ করে দেওয়ার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে অনেক কাশিমবাজার কুঠি দিনরাত অবিরাম কাজ করছে। এসব থেকে বাঁচতে হলে তাঁর একমাত্র ভরসাস্থল দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী, যারা কোনো কিছু পাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। রাজনীতি করে বঙ্গবন্ধু আর তাঁর কন্যাকে ভালোবাসে বলে। জানি, বঙ্গবন্ধুকন্যার জন্মদিনটি ঘটা করে পালন করা হবে না; কিন্তু তাঁর দীর্ঘায়ুর জন্য এ দেশের কোটি মানুষ প্রার্থনা করবে। মনে মনে বলবে, শতায়ু হোন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পিতার অসমাপ্ত কাজ যে সমাপ্ত করতে হবে। নির্মাণ করতে হবে একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক আর ভবিষ্যতের আধুনিক বাংলাদেশ। এটি বর্তমান প্রজন্মেরও প্রত্যাশা। বাংলাদেশে কোনো রাজতন্ত্র নেই। তবে শেখ হাসিনাই এ দেশের ভার্চুয়াল রাজকন্যা। গণমানুষের রাজকন্যা। বেঁচে থাকুন আপনি এ দেশের মানুষের হৃদয়ে, জন্ম-জন্মান্তর। আবারও আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
লেখক : চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন
সূত্র : কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।