জুমবাংলা ডেস্ক : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যায় পাহাড়ি ৪টি নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কমলেও ঢলের পানি যেদিক দিয়ে নেমে যাচ্ছে সেসব অঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলায় ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আজ বিকেল থেকে রোদ ওঠায় এবং বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে জেলার পাঁচটি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
শেরপুরে আরও ৫০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষশেরপুরে আরও ৫০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
এর আগে ৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন। তিনি জানান, ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার ইদ্রিস আলী (৬৬), নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের দুই ভাই আলম (১৭) ও হাতেম (৩০), বাঘবেড় বালুরচরের ওমেজা বেওয়া পানিতে ডুবে মারা গেছেন। এছাড়া ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়া থেকে একজন উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে নকলা উপজেলায় দুইজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলার উরফা ইউনিয়নের কুড়েরকান্দায় বন্যার পানিতে থাকা বিদ্যুতের তারে বিদ্যুতায়িত মোক্তার আলী (৫০) নামের একন মারা গেছেন। অন্যদিকে একই উপজেলার গনপদ্দির গজারিয়া বন্যার পানিতে ডুবে আ. রাজ্জাক নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় বন্যায় ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া আজকের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং চেল্লাখালীর ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এদিকে ব্রহ্মপুত্র, মৃগী ও দশানী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার অনেক নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত জেলার সাড়ে ৩৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। সাড়ে ৯০০ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাকিবুজ্জামান খান বলেন, আগামীকাল সোমবারের মধ্যে সব নদীর পানি কমবে, উন্নতি হবে বন্যা পরিস্থিতির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।