জুমবাংলা ডেস্ক: শেরপুর জেলায় বর্তমানে মোট ২৪ হাজার ৬২১ জন নারী সরকারি কর্মসূচির আওতায় পাচ্ছেন খাদ্য ও নগদ আর্থিক সহায়তা।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ৪টি পৌরসভা ও ৫২টি ইউনিয়নে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ভিজিডি কর্মসূচীর আওতায় প্রতিজন উপকারভোগী প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাউল পাচ্ছেন। ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলের আওতায় নারীরা পাচ্ছেন প্রতি মাসে ৮০০ টাকা। দরিদ্র মা’র জন্য মাসিক ৮০০ টাকা হারে দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালিন ভাতা ৩ মাস পর পর মোবাইল ও অনলাইন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ঘরে বসেই পাচ্ছেন এ টাকা। এ ছাড়াও শেরপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে ৮০০ টাকা হারে ৪ হাজার ৭০০ জন নারী প্রতি মাসে মোবাইল ও অন লাইন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ঘরে বসেই পাচ্ছেন এ টাকা।
শেরপুর পৌরসভা কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল পাচ্ছেন ১ হাজার ৪০০ জন, মাতৃকালীন ভাতা পাচ্ছেন ২২৪ জন, নকলা উপজেলায় কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল পাচ্ছেন ৪০০ জন, দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃকালীন ভাতা পাচ্ছেন ১ হাজার ৩৩২ জন, নালিতাবাড়ী উপজেলায় কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল পাচ্ছেন ৪৫০ জন, দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃকালীন ভাতা পাচ্ছেন ১ হাজার ৭১৬ জন, শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল পাচ্ছেন ৪০০ জন, দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃকালীন ভাতা পাচ্ছেন ১ হাজার ৪৮০ জন, ঝিনাইগাতী উপজেলায় শুধু দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃকালীন ভাতা পাচ্ছেন ১ হাজার ৩৬ জন নারী। ঝিনাইগাতী উপজেলায় পৌরসভা না থাকায় এই উপজেলায় কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি নেই। শুধুমাত্র শেরপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৪ হাজার ৭০০ জন নারী।
এছাড়াও ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় শেরপুর সদর উপজেলায় ২ হাজার ২৯২ জন, নকলা ২ হাজার ১৬৯ জন, নালিতাবাড়ী ২ হাজার ৫১৬ জন, শ্রীবরদী ২ হাজার ২১৪ জন এবং ঝিনাইগাতী ২ হাজার ২৯২ জন, মোট ১১ হাজার ৪৮৩ জন দুঃস্থ মহিলা জানুয়ারি-২০২১ থেকে ২ বছর মেয়াদে প্রতিমাসে ৩০ কেজি হারে চাল পাচ্ছেন।
শেরপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুল কবীর বাসসকে জানান, অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা ও দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালিন ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি জানান, অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে মায়েরা যাতে পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ থেকে বঞ্চিত না হন এবং তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যাতে পুষ্টির ঘাটতি না হয় সে লক্ষ্যে সরকারের এ ভাতা প্রদান সময়োপযোগী পদক্ষেপ। পৌরসভায় মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যাচাই-বাছায়ের মাধ্যমে স্বচ্ছতার সহিত এই সহায়তা নারীরা পেয়ে আসছেন। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।