‘আমার বয়স এখন সাতাশ, যদিও সার্টিফিকেট অনুযায়ী তা এখনও ২৫ পেরোয়নি। আমি আমার জীবনকে ভালোবাসি। আমি সুখী, আমার কাছের প্রিয়জনদের নিয়ে, কিন্তু সব ভালোবাসা, আপনজনদের ছেড়ে খুবই দ্রুত আমাকে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে।
যদিও আমি যেতে চাই না, কিন্তু সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ মানুষের হাতে নেই। আমরা হয়তো একভাবে আমাদের জীবনকে সাজাতে ব্যস্ত, কিন্তু ভাগ্য নিয়ন্ত্রণকারী হয়ত অন্য কিছু আমাদের জন্য সাব্যস্ত করে রেখেছেন। চাইলেই সবকিছু আমাদের ইচ্ছাধীন নয়।
আমি কখনোই তেমন কিছু লিখতাম না, কিন্তু আজ মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমি সবাইকে কিছু কথা বলতে চাই। মানুষ মৃত্যুকে এমনভাবে যে কখনোই তা কাউকে স্পর্শ করবে না, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে সবার জন্যই তা প্রযোজ্য, হয়তো কিছুটা সময়ের ব্যবধানে।
আমি সবাইকে বলতে চাই দয়া করে জীবনের ছোট ছোট, অর্থহীন অপ্রাপ্তি, কষ্টগুলোকে বাদ দিন। বরং ভাবুন একটি সময়ে সবাইকে একই পরিণতির দিকে যেতে হবে। সুতরাং, আমরা যা সময় পাচ্ছি তাকে অর্থপূর্ণ, আনন্দময় করাটাই মূখ্য হওয়া উচিত। জীবনকে জীবনের ছন্দে চলতে দেওয়াটাই জীবনের আনন্দ।
যখন জ়ীবনের সামনে বড় কোনো সমস্যা এসে উপস্থিত হয় তখন একটু চিন্তা করুন, আপনার আশেপাশে তাকান, দেখবেন অন্য অনেকে আরও অনেক বড় সমস্যায় জর্জরিত। তখন দেখবেন, আপনার সমস্যাকে…’
এটি একটি নোট খাতার নোট। যা লিখেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী তাওশিক আহমেদ। ঢাবির ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী এ শিক্ষার্থী অনার্সে সিজিপিএ ৪ এ ৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু আজ তিনি সকল প্রাপ্তি আর রেকর্ডের উর্দ্ধে চলে গেছেন। গত ২৯ এপ্রিল দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুর আগে সবার জন্য কিছু উপদেশমূলক কথা নোট-খাতায় লিখে গিয়েছেন তাওশিক। তারই কিছু অংশ-বিশেষ হিসেবে উপরের কথাগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তার একজন বন্ধু। এই নোটটি শেয়ার হতেই হাজারো মানুষ তাতে মন্তব্য করেছেন। কান্নার ইমোজি দিয়েছেন।
ইউএনওরা পাচ্ছেন কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি!
সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও এ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যে ধরনের গাড়ি ব্যবহার করেন, সে ধরনের গাড়ি মাঠ প্রশাসনের জুনিয়র কর্মকর্তাদের জন্য কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) পাচ্ছেন বিলাসবহুল গাড়ি।
কোনো দরপত্র আহ্বান না করে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আপাতত ১০০টি গাড়ি কেনা হবে। দীর্ঘ সময় লাগার অজুহাতে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার পথে না হাঁটার পক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে কমিটির বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বৈঠকে ইউএনওদের জন্য ৫৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকার গাড়ি কেনার পরিকল্পনা ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৯১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার পাজেরো স্পোর্টস কিউ এক্স মডেলের গাড়ি কেনার প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে। এরইমধ্যে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতেও পাঠানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ইউএনওদের জন্য নতুন কেনা গাড়িগুলো হবে শক্তিধর, সুপরিসর ও পর্যাপ্ত গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সের ফোর হুইল ড্রাইভের। প্রস্তাবটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পরপরই ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে গাড়িগুলো কেনার কথা রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।