স্পোর্টস ডেস্ক: অনেক জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বাদল রায়। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর, স্ত্রীকে দিয়ে আবেদন পত্র পাঠান সাবেক এ ফুটবলার। অসুস্থতার কারণেই তিনি নির্বাচন করছেন না বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মাধুরী রায়। এদিকে, সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বাদল রায়ের আবেদন গৃহীত হবে কিনা, তা নির্বাচন কমিশনাররা খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
দিনভর অপেক্ষা। বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের আনাগোনা। শনিবারই নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
তবে সকাল থেকে নেই কোন কার্যক্রম। ফাঁকা রুমে অলস সময়ক্ষেপন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের। মাঝে দুজন এসে সদস্য পদ থেকে নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও ছিলোনা কোন আড়ম্বর।
অবশেষে দুপুর গড়িয়ে বিকেল। ঘড়ির কাঁটা জানিয়ে দিলো, শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বেঁধে দেয়া সময়। স্বাভাবিক ভাবেই দিনলিপি পড়ে শোনালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
আবু নাঈম সোহাগ বলেন, আজ দুজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একজন উত্তর বারিধারা ক্লাবের জাকির হোসেন বাবুল এবং আরেকজন আজমপুর ফুটবল ক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক। তারা দুজন সদস্য পদে মনোনয়ন কিনেছিলেন।
তবে, এরপরই বোমাটা ফাটে বাফুফে ভবনে। দিনভর বাতাসে ঘুরে বেড়ানো গুঞ্জনটাই হয় সত্যি। সভাপতি পদ থেকে নিজের নাম সরিয়ে নেন সাবেক ফুটবলার এবং বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায়। স্ত্রী মাধুরি রায়কে দিয়ে আবেদন পাঠান ফেডারেশনে।
হাতে লেখা একটি চিঠি বাফুফে বরাবর পাঠিয়েই দায় সারেন বাদল। জানিয়ে দেন অসুস্থতার কারণেই নির্বাচন করতে চান না তিনি। পাশাপাশি, কোন কারণে এরপরও যদি ব্যালটে তার নাম আসে, তাই তাকে ভোট না দিতেও আহ্বান জানান বর্ষীয়ান এ সংগঠক।
তার স্ত্রী মাধুরি রায় বলেন, তার শরীর একদম ভালো না। ঠিক মতো কথাও বলতে পারছে না। তাই আমরা পরিবারের সদস্যরা মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। বাদল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা নির্বাচন করার মতো নেই। বাদল রায়ের পক্ষ থেকে আমি ডেলিগেটদের অনুরোধ করবো, যদি ব্যালটে বাদলের নাম চলেও আসে দয়া করে আপনারা তাকে ভোট দেবেন না। অন্য যারা প্রার্থী আছেন তাদেরকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
তবে, প্রত্যাহারের সময়ের পর আবেদন জমা পড়ায়, এখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ।
তিনি বলেন, যেহেতু মনোনয়নের সময় শেষ হয়ে গেছে, এটা এখন নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। আগামীকাল বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে, আমার জানামতে বাদল দা নিজে ফোন দিয়েছিলেন কমিশনকে। তার জমা দিতে দেরি হলেও, আগেই জানিয়েছিলেন।
৩টি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের পর বাফুফে নির্বাচনের ২১ পদের বিপরীতে এখন প্রার্থী রইলো ৪৬ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।