স্পোর্টস ডেস্ক : সমীকরণটা ছিল বেশ সহজ। শেষ ষোলোতে পা রাখতে কানাডার বিপক্ষে জিততেই হবে মরক্কোকে। ড্র অথবা হার ফেলে দিবে কঠিন অনিশ্চয়তায়। এমন সমীকরণের ম্যাচে শুরু থেকেই দারুণ খেলা আফ্রিকার দেশটি কানাডার বিপক্ষে জয় পেয়েছে ২-১ গোলে। আর এতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে মরক্কোর নকআউট পর্বে খেলার সম্ভাবনা।
এদিকে ‘এফ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হয় বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচটি গোলশূন্য ব্যবধানে শেষ হলেও গ্রুপ টেবিলের দুই’য়ে থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েটরা।
বেলজিয়ামের গোল্ডেন জেনারেশনের এটিই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। ডি ব্রুইন, লুকাকু, হ্যাজার্ডদের মত এক রাশ তারকায় ঠাসা বেলজিয়াম দল ২০১৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়ে এই বিশ্বকাপে ভালো করার আশা নিয়ে এসেছিল। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে মাত্র ১ ম্যাচ জিতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল। শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দরকার ছিল জয়ের। কিন্তু ক্রোয়েটদের জমাট রক্ষণভাগ ভাঙতে ব্যর্থ হন লুকাকু, ডি ব্রুইনরা। ফলে গোলশূন্য ড্রতে খেলা শেষ হলে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় বেলজিয়ামের।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে ক্রোয়েশিয়া ও বেলজিয়াম। বেশ কিছু গোলের সুযোগ পায় দু’দল। ম্যাচের ১৩ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় বেলজিয়াম। সেখান থেকে বল পান ক্যারাসকো। তবে সেখান থেকে তার নেওয়া শট চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে।
এরপর ম্যাচের ১৫ মিনিটে ফ্রি কিক পায় ক্রোয়েশিয়া। সেই ফ্রি কিক থেকে ফাউলের কারণে পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া। তবে রেফারি পানাল্টি চেক করে অফ সাইডের সিদ্ধান্ত দেন। ফলে আর গোলের দেখা পায় না ক্রোয়েশিয়া। এরপর ম্যাচের ১৮ মিনিটে ফের অ্যাটাকে যায় ক্রোয়েশিয়া। তবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। এরপর গোলের আশায় একাধিক আক্রমণ করে দু’দল। তবে শেষ পর্যন্ত গোল না হলে গোলশূন্য থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ক্রোয়েশিয়া ও বেলজিয়াম।
পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রোমেলু লুকাকুকে মাঠে নামায় রেড ডেভিলরা। ৫১ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় ডি ব্রুইন। তার বুলেট গতির শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৫৪ মিনিটে এবার ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ থেকে ব্রজোভিচের শট রুখে দেন কর্তোয়া। ৬০ মিনিটে প্রায় গোলের দেখায় পেয়ে গিয়েছিল বেলজিয়াম কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলবার। লুকাকুর ডান পায়ের শট গোলরক্ষকে পরাস্ত করলেও গোলবারে লেগে বাইরে চলে যায়।
৬৪ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় লুকাকু। এবার তার হেড চলে যায় গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে ৮৭ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন লুকাকু। এবারও তার শট দেখা পায়নি গোলের। ৯০ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন ইন্টার মিলানে ধারে খেলতে যাওয়া লুকাকু। থোরান হ্যাজার্ডের বাড়ানো বলে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও তা গোল মুখে ঢুকাতে পারেননি তিনি। মূলত লুকাকুর এতগুলো গোল মিসেই কপাল পুড়ে বেলজিয়ামের। খালি হাতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয় বেলজিয়ামকে। অন্যদিকে ড্র করে গ্রুপের রানার্স আপ হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে ক্রোয়েশিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।