পুঁজিবাজার ডেস্ক : করোনার ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি মোকাবেলায় অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
২০১৮ সাল থেকেই পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতা বিরাজ করছে উল্লেখ করে সিএসই বলছে কভিড-১৯-এর প্রভাবে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিএসইসির কাছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা চেয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জটি। মার্জিন ঋণের সুদ, অফিস খরচ, করপোরেট কর, বিও হিসাব নবায়ন ফি ও ব্রোকারদের জন্য বিশেষ ঋণ খাতে এ প্রণোদনা চেয়েছে সিএসই।
এর মধ্যে বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণের সুদ বাবদ ৪০০ কোটি টাকা সরকারের কাছে ভর্তুকি চেয়েছে সিএসই। কিংবা সরকার চাইলে ছয় মাসের সুদ মওকুফ করার নির্দেশ দিতে পারে। লকডাউন ও সরকারি ছুটির কারণে ব্রোকার ও ডিলারদের কমিশন আয় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর এপ্রিল ও মে মাসের বেতন এবং ঈদের বোনাস বাবদ মোট অর্থের ৮০ শতাংশ বা ৮০ কোটি টাকা চেয়েছে সিএসই। এ অর্থ ভর্তুকি কিংবা চলতি মূলধন হিসেবে ২ শতাংশ সুদে নমনীয় ব্যাংকঋণ হিসেবে চেয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জটি।
২০১৮ সাল থেকেই সিএসই রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না। চলমান কভিড-১৯ বিপর্যয়ের কারণে এক্সচেঞ্জটির আয় আরো কমে গেছে। এ অবস্থায় সরকারের সিএসইর বিদ্যমান করপোরেট করহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়েছে। এ খাতে ২০ কোটি টাকার প্রণোদনা চেয়েছে এক্সচেঞ্জটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।