স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাটিংয়ে যেমন বোলিংয়েও তেমন। এক কথায় দুর্দান্ত অলরাউন্ডিং পারফর্মেন্স। ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫০ এবং বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে এক উইকেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা দেখা যায় খুব কমই। মেহেদীর এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সঙ্গেই পেরে ওঠেনি ঢাকা। শেষ বল পর্যন্ত গড়ানো শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কাছে মাত্র ২ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বেক্সিমকো ঢাকা।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে নামে ঢাকা-রাজশাহী। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর দেড়টায়। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে রাজশাহী। টার্গেটে খেলতে নেমে পাঁচ উইকেট হাতে থাকার পরও ২ রান আগে থেমে যায় ঢাকার ইনিংস।
ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মুশফিকুর রহীম। মুশফিক যতক্ষণ মাঠে ছিলেন মনেই হয়নি হারবে ঢাকা। তার সঙ্গে ছিলেন আকবর আলী। আকবরও আউট হয়ে যান ৩৫ রান করে। এরপরেই ম্যাচ হেলে যায় রাজশাহীর দিকে। তবে ফরহাদ রেজার করা ১৯তম ওভারে মুক্তার আলীর ২১ রান করে ম্যাচের নাটাই নিজেদের দিকে নিয়ে নেন।
শেষ পর্যন্ত হার মানতে হলো ওই মেহেদীর কাছে। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল ৯ রান। কিন্তু একটি নো বলের কারণে বাড়তি বল পেলেও ৯ করতে পারেনি ঢাকা। এ সময় ক্রিজে ছিলেন সাব্বির-মুক্তার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল রাজশাহী। ওপেনিংয়ে নামা শান্ত ৩১ রানের মাথায় ফিরে গেলেই ছন্দপতন ঘটে রাজশাহীর। পরে ৬৫ রানের মধ্যে দলটি হারায় ৫ উইকেট। এর পরেই মেহেদি-সোহানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় পদ্মা পাড়ের দলটি। মেহেদী ৩২ বলে ৫০ ও সোহান ২০ বলে ৩৯ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে দলটি করে ১৬৯ রান।
ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন মুক্তার আলী। তিনিও নায়ক হতে পারতেন। কিন্তু আজ দিনটা ছিল মেহেদীর। তাই হয়তো মেহেদীর ছয় বলে ৯ রান নিতে পারেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।