জুমবাংলা ডেস্ক : শ্যালিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা জামাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মিজানুর রহমান নামে এক শ্বশুর। সেই মামলায় জামাতা নাঈম কাজীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত নাঈম কাজী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা সদরের মুকসুদপুর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রভাকরদী গ্রামের মোসারফ কাজীর ছেলে।
আজ শুক্রবার নাঈমকে মুকসুদপুর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা লিপির আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ছাত্রলীগ নেতা নাঈম কাজী গত ২১ জানুয়ারি শুক্রবার শ্যালিকাকে জোরপূর্বক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা মা-বাবাকে জানানোর পর ওই তরুণীর পিতা মো. মিজানুর রহমান জামাতা নাঈমকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ১৪ ফেরুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা করেন। ১৬ ফেরুয়ারি আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মুকসুদপুর থানাকে রেকর্ডভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ ফেরুয়ারি) মুকসুদপুর থানা মামলাটি শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯ (১)/৩০ ধারায় রেকর্ডভুক্ত করে। মামলার অপর তিন আসামি নাঈমের বন্ধু উল্লেখ করা হয়েছে। পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে মুকসুদপুর উপজেলা সদর থেকে ছাত্রলীগ নেতা নাঈম কাজীকে গ্রেপ্তার করে।
মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোন্দকার আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ ব্যাপারে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা নাঈমকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তরুণীর মেডিক্যাল টেস্ট ও জবানবন্দি নেওয়ার জন্য গোপালগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি মুকসুদপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম কাজীর বিরুদ্ধে যদি ধর্ষণ এবং অপহরণের বিষয়টা প্রমাণিত হয় তবে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে এবং দল থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।