Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home শ্রীমঙ্গলে গেলে যেতে ভুলবেন না সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায়
    ট্র্যাভেল

    শ্রীমঙ্গলে গেলে যেতে ভুলবেন না সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায়

    Mohammad Al AminNovember 22, 20194 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক: বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই শোনা গেল পশুপাখির কিচিরমিচির। ঢুকেই দেখা গেল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমসংবলিত দেয়ালচিত্র

    ঘড়ির কাঁটায় হয়তো তখন ভোর ৫টা। গভীর নিদ্রায় শায়িত আমি। এদিকে ঘড়ির কর্কশ শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। ঘড়িরইবা কি দোষ! আমিই তাকে বলেছিলাম সকাল সকাল ডেকে তুলতে। ঘুম থেকে উঠতে মন চাইছিল না। ভাবলাম আরেকটু ঘুমিয়ে নিই, এরপর উঠে তৈরি হয়ে নেব। নিদ্রাদেবীও তার আবেশ থেকে আমাকে ছাড়লেন না, ফলে ঘুম ভাঙতে সেই দেরিই হয়ে গেল। কিন্তু সহধর্মিণী সানন্দার ডাকাডাকিতে ঘুম থেকে উঠতেই হলো। উঠেই তেরি হয়ে নিলাম নতুন গন্তব্যে যাব বলে।

    ও বলাই হলো না আজ শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন। আমাদের আজকের গন্তব্য সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা বলে খ্যাত জায়গাটির। শ্রীমঙ্গলের সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। বইয়ে পড়েছি, ভালুক শিকার করতে গিয়ে কীভাবে সিতেশ বাবু মুখের একাংশ হারিয়েছেন। কীভাবে পশুপাখির অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে চলেছেন। আগে থেকেই বলা ছিল তিন চাকার বাহনকে, তাই বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না। আমরা চলেছি মহাসড়ক ধরে।

    স্নিগ্ধ সকাল, বেশ ভালোই লাগছিল। দেখতে দেখতে উপস্থিত হলাম বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের সদর দরজায়। প্রবেশ দ্বারে অনেক মানুষের সমাগম। আমাদের মতো অনেকেই এসেছেন তাদের সন্তানদের নিয়ে। বেশকিছু সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম। বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই শুনলাম পশুপাখির কিচিরমিচির।

    ঢুকেই দেখা পেলাম বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমসংবলিত দেয়ালচিত্র। ভাবলাম একটু দেখেই নিই, কিন্তু বাধ সাধলেন সহধর্মিণী। বলল আগে ঘুরে ঘুরে দেখি, পরে ওগুলো দেখা যাবে। সানন্দার কথামতো সামনে এগিয়ে গেলাম। এবং দেখা পেলাম বিরল প্রজাতির সোনালি হনুমান। খুব নিরিবিলি বসে আছে দেখে মনে হলো সে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে। পাশের খাঁচার বানরকে বেশ উত্তপ্ত দেখলাম, সে খাঁচা ধরে টানাটানি শুরু করছে। এরপর একে একে দেখতে পেলাম সোনালি হনুমান, শকুন, সাদা বক, বিরল প্রজাতির সোনালি রঙের কচ্ছপ।

    এ কচ্ছপের বৈশিষ্ট্য এরা গাছে বাস করে। কখনো পানিতে নামে না, ডাঙায় বিচরণ করতে দেখা যায় কদাচিৎ। শুকনো খাবার খেতেই পছন্দ করে বেশি। কিছু দূরে দেখা গেল বিষাক্ত শঙ্খিনী সাপ। তার খাবার দিয়ে রাখা হয়েছে, কিন্তু সে বেশ দূরেই শুয়ে আছে, মনে হলো খাবার নিয়ে তার ভেতরে কোনো আগ্রহ নেই। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। দেখলাম বন্যপ্রাণীসেবা ফাউন্ডেশনের এক পরিচর্যাকারী। তার কাছে জানতে চাইলাম সিতেশ রঞ্জন দেবের কি দেখা পাব? উত্তরে তিনি বললেন সিতেশ বাবু শহরে গেছেন, তাই তার সঙ্গে আজ দেখা হবে না। শুনে মন খারাপ হলো বৈকি! বললাম এ প্রতিষ্ঠান শুরুর কথা জানতে চাই।

    তিনি বললেন, আমি যতটুকু জানি একসময়কার দুর্দান্ত শিকারি সিতেশ রঞ্জন দেব। ৪৫ বছর আগে পশুপাখির সেবা আশ্রম হিসেবে গোড়াপত্তন করেছিলেন তার বাবা শ্রীশ চন্দ্র দেব। দুরন্ত বালক সিতেশ বাবার নেশা তথা পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার অভ্যাস পেয়েছেন। বাবার সঙ্গে থাকতে থাকতে নিজেও যে কখন জীবজন্তুপ্রেমী হয়ে গেছেন, টেরই পাননি। শিকার করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন বহুবার। এর ছাপ আছে তার শরীরে। আছে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার দুঃসাহসিক রোমাঞ্চকর গল্পও।

    ১৯৯১ সালে কমলগঞ্জের পত্রখোলা চা বাগানে বন্য শূকরের উপদ্রব বেড়ে যায়। চা বাগান কর্তৃপক্ষ সিতেশ বাবুর শরণাপন্ন হন। বাগানে সারা রাত দোনলা বন্দুক দিয়ে শিকার করেন সিতেশ বাবু। শিকার চলাকালে প্রায় আট ফুট লম্বা একটি ভালুকের সামনে পড়েন। ভালুকের থাবায় তার ডান চোখসহ গালের অনেকটা হারিয়ে যায়। টানা দুই মাস চলে চিকিৎসা। সুস্থ হলেও চেহারায় সেই ভয়াল থাবার ছাপ রয়েই যায়।

    আমরা কথার সঙ্গে এগিয়ে যেতে লাগলাম, দেখা পেলাম অজগরের। একে একে দেখা পেলাম সজারু, হিংস্র মেছো বিড়াল, চারপাশে গন্ধ ছড়ানো গন্ধগোকুল, পাহাড়ি বক, নিশি বক এবং অসংখ্য বিরল প্রজাতির পাখি। দেখা পেলাম বাংলার লজ্জাবতী বানরের, তারা দিনের বেলা মাথা নিচু করে থাকে। চোখও বন্ধ করে রাখে। এমনকি দিনে কোনো খাবার খায় না। এদের যত কাজ রাতের অন্ধকারে। এজন্য এদের নাম লজ্জাবতী বানর। তাছাড়া একে একে দেখতে পেলাম উড়ন্ত কাঠবিড়ালি, হনুমান, মায়া হরিণসহ প্রায় দেড়শ প্রজাতির জীবজন্তু। দেখলাম হিমালয়ান সিভিটকেট, মথুরা, সোনালিকচুয়া, বুনো খরগোশ, বুনো রাজহাঁস, লেঞ্জা, বালিহাঁস, প্যারিহাঁস, কোয়েল, লাভবার্ড, চিত্রা হরিণ, বনরুই, বিভিন্ন রঙের খরগোশ, সোনালি খাটাশ, গুঁইসাপ, ধনেশ, হিমালয়ান টিয়া, ময়না, কাসে-চড়া, কালিম, বাজিরিক, শঙ্খচিল, তোতা, সবুজ ঘুঘু, হরিয়াল প্রভৃতি।

    বন্যপ্রাণীসেবা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার সিতেশ বাবু স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে প্রায় তিন দশক ধরে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রায়ই তিনি বিভিন্ন স্থানে ধরাপড়া বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার করে সেবা-শুশ্রূষা দিয়ে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেন। এ পর্যন্ত তার এভাবে সেবা দিয়ে ছেড়ে দেয়া প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে অজগর, বিলুপ্তপ্রায় শকুন, বিভিন্ন রকমের অতিথি পাখি, বনবিড়াল, লজ্জাবতী বানর, বাদামি বানর, ধনেশ, বিরল প্রজাতির হিমালয়ান পামসিবেট প্রভৃতি। পুরো এলাকা ঘুরে এবার আমরা এলাম বের হওয়ার মুখে রাখা ছবি দিয়ে টাঙানো নোটিস বোর্ডের দিকে। এখানে সিতেশ বাবুর নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের সচিত্র বর্ণনা দেয়া আছে। প্রাণবৈচিত্র্য দেখতে দেখতে সুন্দর একটা সময় কেটে গেল আমাদের।

    কীভাবে যাবেন:

    ঢাকা থেকে বাস অথবা আন্তঃনগর ট্রেনে শ্রীমঙ্গল যেতে পারেন। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অনেক বাস পাবেন পাবেন। ভাড়া ২৬৫-৫০০ টাকা অথবা চাইলে সিলেট থেকেও যেতে পারেন শ্রীমঙ্গলে। শ্রীমঙ্গল থেকে অটোরিকশায় যেতে পারবেন সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানায়। ভাড়া নেবে জনপ্রতি ৪০ টাকা।

    লেখক: সুমন্ত গুপ্ত।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    গেলে চিড়িয়াখানায় ট্র্যাভেল না বাবুর ভুলবেন যেতে শ্রীমঙ্গলে সিতেশ
    Related Posts
    বাংলাদেশী পাসপোর্ট

    ৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন, খরচও অনেক কম

    October 25, 2025
    অনলাইনে ভিসা চেক

    অনলাইনে ভিসা চেক করার সকল সাইট

    October 13, 2025
    বাংলাদেশী পাসপোর্ট

    ৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন, খরচও অনেক কম

    October 10, 2025
    সর্বশেষ খবর
    বাংলাদেশী পাসপোর্ট

    ৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন, খরচও অনেক কম

    অনলাইনে ভিসা চেক

    অনলাইনে ভিসা চেক করার সকল সাইট

    বাংলাদেশী পাসপোর্ট

    ৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন, খরচও অনেক কম

    দেশের বাইরে ঘুরা

    ৪০ হাজার টাকার মধ্যে দেশের বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন এই ৫টি স্থানে

    Passport-

    ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশিরা যেসব দেশে যেতে পারবেন

    ভিসা

    বিশ্বের ১০টি দেশে ঘুরতে যেতে পারেন কোন ভিসা ছাড়াই

    দেশের বাইরে

    ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ঘুরে দেশের বাইরে আসতে পারেন এই ৫টি স্থান

    Passport

    শুধু পাসপোর্ট থাকলেই বিশ্বের যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা

    পাসপোর্ট

    বিশ্বের যেসব দেশে ঘুরতে ভিসার কোন প্রয়োজন নেই

    পাসপোর্ট

    বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টের রং ভিন্ন ভিন্ন হয় কেন? প্রতিটি রঙের অর্থই বা কী

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.