জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের চা শিল্পে আরও একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলে চা-বাগানে ঘুরতে আসা ব্যাংকক, ব্যাংকক মালয়েশিয়া, জীবনের টানে এদেশের চা উৎপাদনকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করছে ব্যবসায়ীরা। এখানে বাইরের দেশের পর্যটকদের আগমন বাড়ানোর পাশাপাশি, দেশেরও বিভিন্ন স্থান থেকে চা প্রেমীদের সমাগম ঘটছে। দেশের অন্যতম প্রধান চা উৎপাদনের জেলা শ্রীমঙ্গলে, অবস্থিত অনেক সুসজ্জিত চা-বাগান। এই এলাকার প্রকৃতির মাঝে ডুব দেওয়ার আশায়, চা-বাগানে গিয়ে মনোরম সন্ধ্যাবেলা এবং সকালের কোয়ালিটি চায়ের স্বাদ নিতে চায় অনেকেই।
চা-বাগানে আগ্রহের কারণ
চা-বাগানের প্রতি আগ্রহ বাড়ার আরও একটি কারণ হলো পরিবেশের উৎকর্ষ। এখানে চা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয় পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি, যা চা প্রেমীদের মাঝে একটি নিরাপদ চা পান করার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। অনেক চা উৎপাদক জায়গায় জায়গায় চা-বাগানে ভ্রমণকে একটি অভিজাত অভিজ্ঞতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করছেন।
চা-বাগানে যাতায়াত করার সময় চা প্রেমীরা সেখানকার প্রকৃতি, শান্ত পরিবেশ এবং প্রশান্ত মনে চা পান করার সুযোগ পান। পাশাপাশি, অনেক চা-বাগান তাদের উৎপাদিত চা নিয়ে বিশেষ ভ্রমণ আয়োজন করছে। যারা এই অনুভূতিটি শেয়ার করতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় ব্যাপার।
শ্রীমঙ্গলে আন্তর্জাতিক চা জিনিসপত্রের বাজার প্রসার
শ্রীমঙ্গলে চায়ের বাণিজ্য নিয়ে নতুন দিগন্তের উন্মোচনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক চা মেলা আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলায় দেশি এবং বিদেশি চা উৎপাদকরা তাদের পণ্যের পরিচিতি আনতে এসেছেন। বর্তমানের এই মেলা দেশের চা শিল্পের জন্য মর্যাদাপূর্ণ একটি আসর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চা উৎপাদন এবং বিক্রয়ের তথ্য
দেশের চা উৎপাদনের বিষয়টি অনেকের কাছে একটি বিশেষ আগ্রহের বিষয়। শ্রীমঙ্গলে বেশি চা উৎপাদনের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বাজারে চা রপ্তানির আশাতেও ব্যবসায়ীরা বেশ আশাবাদী। শ্রীমঙ্গলের চা উৎপাদকরা বর্তমানে সংসদে অবস্থিত নীতিনির্ধারকদের সমর্থন দাবি করছে যেন চা উৎপাদন আরও বেড়ে যায়।
বিভিন্ন চা সম্মেলনে বাংলাদেশের চা উৎপাদনের পরিসংখ্যান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই আলোচনায় দেখা যায়, গত এক দশকে বাংলাদেশের চা উৎপাদন প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।
চা উৎপাদনের অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম
শুধুমাত্র চা উৎপাদন নয়, কেবল ভ্রমণের পাশাপাশি চা উৎপাদকরা স্থানীয় কৃষকদের সাথে সংযুক্ত হতে নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে। বেশ কিছু চা-বাগানে কৃষকেরা উৎপাদিত চা সরাসরি বিক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাঁদের জন্য একটি নতুন উপার্জন সূত্র হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল এলাকার চায়ের বাজারের সাথে যুক্ত হচ্ছে নতুন উদ্যোক্তারা। গুগল ডটকমের এক রিপোর্টের মাধ্যমে জানা গেছে, তারা ভ্রমণকে একটি নতুন পর্যায়ের ব্যবসায়িক কার্যক্রম হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে।
পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর চা উৎপাদনের চাহিদা
বর্তমানে দেশে স্বাস্থ্যকর খাবারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা জেনে চা উৎপাদকরা তাদের উৎপাদন পদ্ধতিতে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। বিশেষ করে কিছু চা উৎপাদক তাদের বিনিয়োগকে নতুন পণ্য উৎপাদনে প্রবাহিত করছেন।
জাতীয় স্বাস্থ্য সংগঠন (WHO) এর মতে, স্বাস্থ্যকর চা পান করার অভ্যাসের কারণে দেশে চা প্রেমীদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ
শ্রীমঙ্গলে চা-বাগানের অভিজ্ঞতা এক আলাদা সংস্কৃতি তৈরি করেছে। চা-বাগানের অদূরে এক সময় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে স্থানীয় সব শিল্পী ও সংগীতশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। এটি মূলত চা-বাগানে আগত পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ তৈরি করেছে।
FAQ
শ্রীমঙ্গলে চা-বাগান ভ্রমণের সেরা সময় কখন?
- সাধারণত শীত মৌসুম হল শ্রীমঙ্গলে চা-বাগান ভ্রমণের সেরা সময়। এর ফলে তাজা চায়ের স্বাদ নেওয়া যায়।
চা উৎপাদনে শ্রীমঙ্গলের গুরুত্ব কি?
- শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের চা উৎপাদনের জন্য একেবারেই সেরা জায়গা এবং দেশের মোট চা উৎপাদনের ৬০% এর উপরাংশ এখানেই ঘটে।
এবারের চা মেলায় অংশগ্রহণ কেমন?
- এবারের চা মেলায় দেশী ও বিদেশী চা উৎপাদকরা অংশগ্রহণ করছেন এবং সেখানে নতুন পণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের কোন সুযোগ রয়েছে?
- স্থানীয় কৃষকেরা সরাসরি চা উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং অনেকেই তাদের চা উৎপাদন বিক্রিতে অংশগ্রহণ করছেন।
- শ্রীমঙ্গলে চা উৎপাদন আইন কিভাবে?
- বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই পাহাড়ী অঞ্চলের চা উৎপাদন আইন সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।