শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে সাইফের অর্ধশতকে দারুণ অবস্থানে বাংলাদেশ, ৩২ ওভার শেষে স্কোর দেখুন

স্পোর্টস ডেস্ক : এই তো ১৮ আগস্ট বিকেএসপিতে লঙ্কান ইমার্জিং দলের কাছে ১৮৬ রানের পাহাড়সম ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সাইফ হাসান ছাড়া একজন ব্যাটসম্যানও রান করতে পারেনি। ইনিংস শেষ হয়েছে মোটে ১১৮ রানে।

প্রায় একই জলবায়ু, আবহাওয়া ও অভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা, প্রায় একই ধরনের মাঠ ও উইকেটে খেলে বড় হওয়া-সেই লঙ্কানদের কাছে কেন এতটা নাস্তানাবুদ হওয়া? কেনইবা এতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পারা?

তা নিয়ে মুখ খুলেছেন হাই পারফরমেন্স ইউনিটের কোচ সায়মন হেলমট। ছেলেদের পারফরমেন্স দেখে যারপরনাই হতাশ ও অসন্তুষ্ট কোচ। হেলমট বলেন, ‘ছেলেদের অ্যাপ্রোচ দেখে আমি খুব হতাশ। খুবই হতাশার যে আমরা শেষ ১০ ওভার ব্যাটিং করতে পারিনি। যেটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ও সিরিজ নির্ধারণী অলিখিত ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং ক্রিকেট দলের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ ইমার্জিং ক্রিকেট দল। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দুদলের লড়াই শুরু হবে সকাল ৯ টায়।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ধীরগতির করেছে বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানেই ওপেনার নাইম শেখকে হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। বিপদ কাটিয়ে উঠতে অনেকটাই দেখে শুনে ব্যাটিং করতে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ সাইফ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পাওয়ারপ্লে শেষের পরই বাড়তে থাকে রানের গতি। বলের সমানতালে লড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সাইফ ও শান্ত। ৫৩ রান করে ব্যাট করছে সাইফ আর ১৭ রানে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছে আফিফ।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩২.৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৮ রান।

উল্লেখ্য, বিকেএসপিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে লঙ্কানদের কাছে ১৮৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে শান্ত-আফিফরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। তাদেরকে হারায় ২ উইকেটে। সে কারনে ১-১ সমতায় তৃতীয় ম্যাচটি পরিনত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। জিততে চাইবে দুদলই।

বাংলাদেশ এইচপি একাদশ:
নাজমুল হোসেন শান্তা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাইম শেখ, ইয়াসির আলী চৌধুরী, আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জাকের আলী, নাইম হাসান, ইয়াছিন আরাফাত, শফিকুল ইসলাম, সুমন খান।

শ্রীলঙ্কা এইচপি একাদশ:
চরিত আসালঙ্কা (অধিনায়ক), সুন্দুন ওয়েরাককোডি, কমুনু মেন্ডিস, আশেন বান্দারা, শাম্মু আশান, আমিলা আপনসো, ওয়ানিদু হাসরাঙ্গা, জেহান ড্যানিয়েল, শিরান ফার্নান্দো, নুয়ান থুশারা।