জুমবাংলা ডেস্ক : চিকিৎসক-কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীদের মারামারি-সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা চালু হয়।
সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে হাসপাতালের ফটকে অপেক্ষারত রোগীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে জরুরি বিভাগে রোগীদের সেবা দেওয়া শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সীমিত পরিসরে চিকিৎসাসেবা চালু হয়েছে। যাদের লম্বা সময় সেবার প্রয়োজন আছে, তাদেরও এ মুহূর্তে জরুরি সেবা নিয়ে চলে যেতে হবে।
কতজন চিকিৎসক হাসপাতালে এসেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম বলেন, মাত্র হাসপাতাল খুলেছে। প্রথমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হবে। চিকিৎসকদের সংখ্যা এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
গত বুধবার চিকিৎসক-কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীদের মারামারি-সংঘর্ষের পর হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফরসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার আলোচনা শেষে আবু জাফর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জরুরি বিভাগসহ সীমিত আকারে অন্য সেবা চালু করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করবে।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে স্বেচ্ছায় বন্দি হয়ে পাকিস্তানের জেলে ছিলেন শেখ মুজিব : সারজিস
পরে মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বুধবার থেকে হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু হবে। চারটি প্রতিষ্ঠানের চক্ষুবিশেষজ্ঞরা আহত ব্যক্তিদের চোখ পরীক্ষা করে দেখবেন কার সমস্যা কতটুকু, কাকে কোথায় চিকিৎসা নিতে হবে।
বুধবার সকালে হাসপাতালে শতাধিক রোগীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।