জুমবাংলা ডেস্ক: ঐতিহাসিক ঢাকা গেটের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে মোঘল আমলের এ স্থাপত্যের সংস্কার কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা গেটের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশর ইতিহাস। বর্তমান প্রজন্ম অনেকেই এই গেটের ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না। সংস্কারের অভাবে গেটটি হারিয়ে যাচ্ছিল।’
অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে প্রায় ধ্বংসের পথে চলে যায় মীর জুমলার আমরের গেটটি। এক সময় ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ছিল ঢাকা গেট।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মধ্যে ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটিকে সংস্কার করে পুরনো আদলে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য বেশ কিছুদিন আগেই উদ্যোগ নিয়েছিল দক্ষিণ সিটি।
তাপস বলেন, ঢাকা গেট সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। ঢাকার যে ঐতিহ্য আছে তা ধারণ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা আছে। সেগুলোও সংস্কার করা হবে।
এছাড়া রাজধানীর পুরানো আরও কিছু স্থাপনা সংস্কার ও সংরক্ষণ করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন বলেন, ঢাকা গেট সংস্কার করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হলে মানুষ ইতিহাসের অনেক কিছু জানতে পারবে।
ঢাকা গেটের পশ্চিম অংশটি পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ভবনের পাশে। এর উত্তরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন নেতার সমাধি। দক্ষিণে পড়েছে দোয়েল চত্বর।
সীমানা চিহ্নিত করতে এবং স্থলপথে শত্রুর আক্রমণ থেকে ঢাকাকে রক্ষা করতে ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে ঢাকা গেইট নির্মাণ করেন মীর জুমলা। তিনি ছিলেন মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে বাংলার সুবাদার।
সে সময় ঢাকা গেট ব্যবহৃত হতো বুড়িগঙ্গা নদী হয়ে ঢাকায় প্রবেশ কাজে। এই গেটকে বিভিন্ন সময় ‘মীর জুমলার গেট’, ‘ময়মনসিংহ গেট’, ‘ঢাকা গেট’ ও ‘রমনা গেট’ নামে ডাকা হতো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।