দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট কিছু বদল আনলেই, অভ্যাসে কিছু বদল আসলেই সহজে কাজ সমাধান করতে পারবেন। গাধার খাটুনি না খেটে একটু বুদ্ধি খাটান। তাহলেই দেখবেন আপনাদের জন্য সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও সহজ হয়ে উঠছে।
পরীক্ষার শেষমুহুর্তে পড়াশোনা করে যেমন কোনো লাভ হয় না, আফসোস করতে হয়, কাজের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই। একদিন আগে থেকে অন্তত কাজের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করুন। ঘুমাতে যাবার আগে টু ডু লিস্ট বানান, কী কী কাজ আছে, কোন কাজের শেষ সময় কখন, কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়া দরকার ইত্যাদি। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্ব স্ব ধর্মীয় প্রার্থনা সেরে কাজে নেমে পড়ুন। পড়াশোনা করুন কিংবা সংসারের কাজ হলেও একটা ছকে বেধে ফেলুন।
নিজেকে ভালো রাখতে, ভালো থাকতে দিনের কিছু সময় অন্তত নিজের খুশিমতো কিছু করুন। যেমন- পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছুটা বিরতি নিয়ে, কাজের ক্ষেত্রে লাঞ্চ ব্রেক বা স্ন্যাক্স ব্রেকে নিজের মতো সময় কাটাতে চেষ্টা করুন।
সারাদিন পড়াশোনা বা কাজ করতে কারোরই ভালো লাগে না, এটা সত্যি। তাই বিরতি নিয়ে নিজের যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। আমাদের অনেক বড় একটা ভুল হলো আমরা কাজের চাপে, পড়াশোনার খাতিরে নিজেদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে অবহেলা করি। প্রথমে এটা তেমন একটা সমস্যা মনে না হলেও পরবর্তীতে বেশ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন- আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ব্যস্ত এই জীবনে আমরা একসাথে অনেক কাজ করে অভ্যস্ত। কাজের প্রায়োরিটি লিস্ট তৈরি করে যে কাজ আগে দরকার, সেটাই করবেন। সব কাজ একসাথে করতে গেলে অধিকাংশ শেষ তো হবেই না, বরং কাজের আগ্রহ একেবারেই হারিয়ে যাবে।
সামনে আপনাকে অনেক বড় কাজ করতে হবে; এজন্য বেশ পরিশ্রম হবে, বুদ্ধি খাটাতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কাজটি করার জন্য কাজের আগে-পরে নিজেকে এবং কাজকে বেশ সময় দেয়া প্রয়োজন। ছোট ছোট বা অপ্রয়োজনীয় কাজে নিজেকে বেশি ব্যস্ত রাখবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।