জুমবাংলা ডেস্ক: আবারও বাড়লো পেঁয়াজের দাম। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না পেঁয়াজের বাজার। প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপেও কাজে আসছে না। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে খোলা বাজারে ৩০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৯০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খবর ইউএনবি’র।
পেঁয়াজের মাত্রাতিরিক্ত দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ, আগের মতো সিন্ডিকেট করে ফের পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
তিন দিন আগেও দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টকা। মিয়ানমারের ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় ও মিসরের ৯০ থেকে ৯৮ টাকায়। আর খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ও মিসরের পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হঠাৎ করে দেশি পেঁয়াজ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারী বিক্রেতারা জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর আমদানিকৃত পণ্য খালাস না হওয়া এবং চাহিদার চেয়ে আমদানি কম হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। তাই হু হু করে দাম বাড়ছে।
খাতুনগঞ্জের পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলাই কুমার পৌদ্দার ইউএনবিকে বলেন, ‘যে পেয়াঁজ আজ সকালে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে তা দুপুরের পর কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা বেড়ে গেছে।’
তিনি পেঁয়াজের বাড়তি দামের জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, ‘মূল জায়গায় হস্তক্ষেপ না করে প্রশাসন আমাদের ধরে জেল জরিমানা করছে। এতে করে বাজারে প্রভাব পড়ছে। পেঁয়াজ আমাদানি সহজ করে দিলে এ সমস্যা হত না।’
তবে সহসা পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এ জন্য আরও মাস দেড়েক অপেক্ষা করতে হবে।’
তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ীর মতে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবের কারণেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি দুইশ টাকা ছুঁইছুঁই করছে। এছাড়া আমদানি করা সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। সাধ্যের বাইরে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
দেশের বৃহত্তর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের আড়তে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৭০ থেকে বেড়ে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে ভারত, মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ। তবে তুলনামূলক কিছুটা কম দাম রয়েছে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম।
নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আলী বলেন, ‘বুধবার থেকে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। এতদিন ১৪০ থেকে দেড়শ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। এখন ২০০ টাকা পেঁয়াজ বিক্রি করলে ক্রেতাদের মার খেতে হবে। সাধারণ মানুষ দু্ইশ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে চাইবে না।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।