জুমবাংলা ডেস্ক : প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু খ্যাত সচিবালয়কে শেরেবাংলা নগরে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ ভবন কমপ্লেক্স ও আশপাশের এলাকা নিয়ে লুই আই কানের তৈরি মূল নকশা অনুসরণ করে নতুন সচিবালয়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে সংশ্নিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বর্তমান সচিবালয় সম্প্রসারণ ও ভবন নির্মাণ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেন কেউ কেউ। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বর্তমান সচিবালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কারণ তুলে ধরা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে আর নতুন করে কোনো ভবন করার প্রয়োজন নেই। শেরেবাংলা নগরে সচিবালয় নির্মাণ করা হবে। নতুন সচিবালয় নির্মাণ হলে তখন পুরাতন সচিবালয়েই বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরে প্রধান কার্যালয়গুলো স্থানান্তর করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্নিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়কে রমনা থানার আবদুল গণি রোড থেকে সরিয়ে শেরেবাংলা নগরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল বর্তমান সরকার। শেরেবাংলা নগরে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মাঠ ও চন্দ্রিমা উদ্যানের কিছু জায়গা নিয়ে ৪২ একর জমির ওপর নতুন সচিবালয় নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হলেও নানা কারণে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া থমকে যায়।
২০১৫ সালের অক্টোবরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) উপস্থাপন করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্নিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, সংসদ ভবন কমপ্লেক্স ও আশপাশের এলাকা নিয়ে লুই কানের তৈরি মূল নকশা এনে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। লুই কানের মূল নকশা দেখার পর প্রকল্পটি পুনরায় একনেকে উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর এ বিষয়ে একনেকে আর কোনো প্রস্তাব ওঠেনি।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে চারটি ব্লকে জাতীয় সচিবালয় কমপ্লেক্স নির্মাণের কথা বলা হয়। এর মধ্যে দুটি বড় ব্লকে ৩২টি বড় মন্ত্রণালয় এবং অন্য দুটি ব্লকে ১৬টি ছোট মন্ত্রণালয়কে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের নতুন সচিবালয় দুই হাজার ২১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা বলা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রীর আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড পুরস্কার গ্রহণ :বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিযোগাযোগ খাত ও ডিজিটাইজেশনে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ডের দুটি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। পুরস্কার দুটি হলো ‘দি আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ সার্টিফিকেট এপ্রিসিয়েশন’ ও ‘দি আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ রিকগনিশন অব এক্সিলেন্স’।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুরস্কার দুটি হস্তান্তর করেন। পুরস্কার দুটি গত ৯ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত আইটিইউ টেলিকম ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ডে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের লেখা ‘ছোটদের বঙ্গবন্ধু’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।