জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছে— পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্র ছাড়া বাকি তিন ধরনের সঞ্চয়পত্রে ব্যক্তি ছাড়াও প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারে।

পরিবার সঞ্চয়পত্র
সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। এটি প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের জন্য নির্ধারিত। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকও এ পরিবার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন, যা একক নামে সর্বোচ্চ বিনিয়োগসীমা। এতে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশনভোগী স্বামী, স্ত্রী বা সন্তান ক্রয় করতে পারেন।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র
এই সঞ্চয়পত্রে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এর মূল্যমান শুরু হয়েছে ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র
এ সঞ্চয়পত্রেও সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এর মূল্যমান ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত।
সব মিলিয়ে একজন ব্যক্তি একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
ক্রয় ও ভাঙানো
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ডাকঘরে এই সঞ্চয়পত্র কেনা ও ভাঙানো যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



