জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে চলমান তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশন সঞ্চয়পত্র ও পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা প্রতি মাসে দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বহুল প্রচলিত পেনশন সঞ্চয়পত্রের ক্রয়সীমা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জান গেছে, অধিক বিনিয়োগ ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াতে সঞ্চয়পত্র খাতে বড় ধরনের সংস্কার আনা হচ্ছে। এর মধ্যে পরিবার সঞ্চয়পত্রে পুরুষ ক্রেতার বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৫০ বছরে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বেশিসংখ্যক পুরুষ পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার আওতায় আসতে পারবেন। এছাড়া বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে যাতে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারে, এই লক্ষ্যে বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলো পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।
বর্তমান চারটি সঞ্চয়পত্রের মধ্যে শুধু ‘পরিবার’ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হয় প্রতি মাস অন্তর। এছাড়া ‘তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক’ সঞ্চয়পত্র, পেনশন সঞ্চয়পত্র ও পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হয় প্রতি তিন মাস অন্তর। সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন মাসের একসঙ্গে মুনাফা না দিয়ে প্রতি মাসে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে যদি কোনো পুরুষ পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে চান, সেক্ষেত্রে তার বয়স ৬৫ বছর বা এর চেয়ে বেশি হতে হবে।
কিন্তু একজন সরকারি চাকরিজীবী ৫৯ বছরে অবসরে গেলে বয়সসীমা বেশি থাকায় পেনশনের টাকা দিয়ে পরিবার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছেন না। একই সমস্যা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রেও হচ্ছে। সব দিক বিবেচনা করে পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার বয়সসীমা ৬৫ থেকে কমিয়ে ৫০ বছরে নামিয়ে আনার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর।
বর্তমান বিনিয়োগের ক্ষেত্র পুঁজিবাজারে খারাপ অবস্থা চলছে। সুদের হার একক অঙ্কে নামিয়ে আনায় ব্যাংকে টাকা রেখে ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে স্বল্প সুদ পাচ্ছেন আমানতকারীরা। কিন্তু মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ বিরাজ করায় ব্যাংকের আমানতের সুদ দিয়ে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। বিনিয়োগের জন্য শুধু সঞ্চয়পত্রে সবচেয়ে বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে অনেকে বেশি মুনাফার আশায় সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু এর বিনিয়োগসীমা অনেক আগে নির্ধারিত ছিল। ফলে বর্তমানে অনেকে বেশি অঙ্কের বিনিয়োগ করতে পারছেন না। তবে সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে গত বছর নতুন কিছু নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করায় বিক্রি অনেক কমে গেছে। এজন্য এই খাতে সংস্কার আনা হতে পারে। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আগের অর্থবছরে বিক্রি করা হয় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।