জুমবাংলা ডেস্ক: ২০২২–২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমেছে ৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং সঞ্চয়পত্রে নানা কড়াকড়ির কারণে অনেকে সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ফেলছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে তার চেয়ে ২৬৭ কোটি টাকা বেশি ভাঙানো হয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রতিবছর সরকার বিদেশি উৎসের পাশাপাশি ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকা করা হয়। গত অর্থবছরে যা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের জুলাই–জুন সময়ে মোট ৮০ হাজার ৮৫৯ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে ভাঙ্গানো হয়েছে ৮৪ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ঋণ কমেছে ৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা।
এর আগে ২০২১–২২ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে নিট ১৯ হাজার ৯১৬ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল সরকার। ২০২০–২১ অর্থবছর নেওয়া হয় ৪১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা।
এদিকে সঞ্চয়পত্রে আশানুরুপ ঋণ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিয়েছে সরকার। গত অর্থবছরে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে নেওয়া হয় ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা।
২০২১–২২ অর্থবছর ব্যাংক থেকে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা নেয় সরকার। এর আগে এক অর্থবছরে যা ছিল সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবছর ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সব মিলিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থায় গত জুন শেষে সরকারের ঋণ স্থিতি রয়েছে তিন লাখ ৯৭ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।