জুমবাংলা ডেস্ক : জঙ্গি হামলার আশঙ্কাকে সামনে রেখে ঈদুল আজহায় পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কূটনৈতিক এলাকা ও ধর্মীয় উৎসব স্থলসহ সব জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে ও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। আমি মনে করি জঙ্গিদের সেই সক্ষমতা, সেই দক্ষতা নেই। বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না, তাদের সম্পর্কে সব সময় আমাদের অবহিত করছেন, যে যেখানে নিউজ পাচ্ছেন। এজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গি দমনে সফল হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ জঙ্গি বলুন, সন্ত্রাস বলুন- এগুলো থেকে আমাদের দেশ রেহাই পেয়েছে। কিন্তু আমি সব সময়ই বলেছি জঙ্গি আমরা কন্ট্রোলে এনেছি কিন্তু আমরা এদের একদম সমূলে উৎপাটন করতে পারিনি। ছোট ছোট স্লিপিং সেল এখনও বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে অবস্থানে আছে। মাঝে মধ্যে তাদের উপস্থিতি বোঝাবার জন্য কিছু কিছু ঘটনা ঘটাবার চেষ্টা করে। সেগুলো আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব যথার্থভাবেই দমন করছে।
ঈদের আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকে, ঈদ সামনে রেখে আবারো সতর্কবার্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেটা শুনেছেন, মাঝে মধ্যে আমাদের গোয়েন্দারা জানাচ্ছে। সেজন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যা যা পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেগুলো তারা করছে। পুলিশ, র্যাব সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সব সময় তারা (জঙ্গি) চিন্তা করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তারা ই-করবে, সেখানেও আমাদের নজর রয়েছে। ঈদুল আজহা নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সেখানে কী হতে পারে সেটা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলাপ করেছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা অনেক সময় দুঃস্বপ্ন দেখে। সেটা নিয়ে তারা অনেক ধরনের জল্পনা-কল্পনা করে, সেগুলোর কিছু অংশ আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ইঙ্গিত পায়। এগুলো সিরিয়াস কিছু নয়। তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারবে আমরা বিশ্বাস করি না। যে কথাবার্তাগুলো আসছে তা নিছকই জানান দেওয়ার জন্য।
হাসপাতালে অভিযান বন্ধ কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মোটেও বন্ধ হয়নি। যারাই এটা (করোনার ভুয়া সনদ) করবে আমরা তাদেরকে ধরব, এটা হল মূল কথা। এটা চলবে। আমাদের ডিরেকশন ছিল তথ্যভিত্তিক হতে হবে। কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়। এখনও সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যারা রয়েছেন জেল কোড অনুযায়ী সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, এরমধ্যে আইন পরিবর্তন হয়েছে। সেই বিষয়ে আমি যাবো না। আমাদের প্র্যাকটিসে যেটা ছিল এক বছরে কতদিন জেল খাটলে বছর পূর্ণ হয় সেই হিসাব করে যাদের ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ২২ বছরে জেলখানার ৩০ বছর পূর্ণ হয়।
৩০ বছর সাজা খাটা এক হাজার ৬০০ এর বেশি কয়েদির একটা তালিকা জেল কর্তৃপক্ষ দিয়েছিলেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ৫-৭ বছরের মধ্যে আমরা ছাড়িনি। এর আগে ছাড়া হয়েছিল। এতদিনে পুঞ্জীভূত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা রয়েছে- ধর্ষক ও নৃশংস খুনি যাতে না ছাড়া হয়। আমরা সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে সেগুলো ফিল্টার করে এখন ৩৬৮-তে নিয়ে আসছি। এটার (এদের মুক্তির) প্রক্রিয়া চলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।