জুমবাংলা ডেস্ক : মহামারি করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহে অনিয়মের বিষয়টি জানতে পেরেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এজন্য জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীকে সতর্ক করেছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) ডা. নাসিমা সুলতানা। কিন্তু আরিফ চৌধুরী সতর্ক না হয়ে উল্টো নাসিমা সুলতানাকে হুমকি দিয়েছিলেন।
সোমবার (১৩ জুলাই) গণমাধ্যমকে দেয়া বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, টাকার বিনিময়ে জেকেজি নমুনা সংগ্রহ করছে, এই খবর পেয়ে তিনি মৌখিকভাবে আরিফুল হক চৌধুরীকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, জেকেজি অধিদপ্তর থেকে যে সহযোগিতা পাচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি (আরিফ) সর্বোচ্চ অফিসের রেফারেন্স দিয়ে তাকে টেলিফোনে হুমকি দেন।
এদিকে, ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে হাজির করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৩ জুলাই) আদালতে হাজির করে তার ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত সে সময় তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
রোববার (১২ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে সাবরিনাকে বহিষ্কার করা হয়।
এর আগে রোববার দুপুরে তাকে (সাবরিনা) তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ কামশনার (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরীর প্রতারণার নেপথ্যে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে সব যোগাযোগ রক্ষা করতেন সাবরিনাই।
গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকে।
এছাড়া রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও পাওয়া যায়। কলেজের কক্ষে নারী-পুরুষের আপত্তিকর অবস্থানসহ নানা অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের ওপরও হামলা করে আরিফুলের লোকজন।
অভিযোগ পাওয়া যায়, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্নজনকে হুমকি দিতেন আরিফ। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।
জানা যায়, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।